স্টাফ রিপোর্টার : কুয়েত সরকার দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। গতকাল কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের আইনি বিষয়ে সমাধান নেয়া এটিই অন্যতম সুযোগ। বিশেষ করে যারা দেশে চলে যেতে চায় তাদের জরিমানা পরিশোধ করতে হবে না। এ ঘোষণায় দেশটিতে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশী কর্মীরাও বৈধতা লাভের এবং বিনা জরিমানায় দেশে ফিরে আসার সুযোগ পাবে। কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম ও দূতাবাসের কাউন্সিলর শ্রম আব্দুল লতিফ খান সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধারণ ক্ষমায় বিভিন্ন দেশের ১ লাখ ৩০ হাজার অবৈধ অভিবাসীর বৈধ হওয়া ও দেশ ত্যাগের সুযোগ পাবে। তবে কতজন বাংলাদেশি আছে সে তথ্য এখনো জানা যায়নি। দূতাবাস জানিয়েছে, যারা বিভিন্ন কারণে অবৈধ হয়ে কুয়েতে রয়েছে তাদের সাধারণ ক্ষমার সুযোগটি গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে দূতাবাস সার্বিক সহযোগিতা করবে। জানা গেছে, জরিমানা পরিশোধ ছাড়াই কুয়েত ত্যাগের সাধারণ ক্ষমার এ সুযোগটি সর্বশেষ ২০১১ সালে দেয়া হয়েছিল। আবারও একই সুযোগ দেয়া হলো। জরিমানা পরিশোধ ছাড়াই কুয়েত ত্যাগ অথবা দৈনিক দুই দিনার করে সর্বোচ্চ ৬০০ দিনার দিয়ে বৈধভাবে কুয়েতে থাকা যাবে। তবে সাধারণ ক্ষমার নির্দিষ্ট সময়ের আগে কোনো অভিবাসী স্থানীয় প্রশাসনের হাতে আটক হয় তাহলে তারা সাধারণ ক্ষমার আওতায় পড়বে না। আর যাদের নামে স্থানীয় আইন ভঙ্গ করা কিংবা বড় ধরনে মামলা আছে তারা মামলার সমাধান করে দেশে যেতে পারবে। সাধারণ ক্ষমার বিষয়ে অবৈধ অভিবাসীদের রেসিডেন্সি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন