স্টাফ রিপোর্টার : মন্ত্রী নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘সংসদীয় কমিটি’ ও যে কোন আইনী জটিলতা নিরসনে ‘সাংবিধানিক আদালত’ গঠন করার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। আদালত অবমাননার দায়ে সরকারের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া দ-াদেশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এমন পরামর্শ দেন।
আ স ম আবদুর রব বলেন, আমরা মনে করি মন্ত্রী নিয়োগ, রাষ্ট্রদূত নিয়োগ এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নিয়োগের ক্ষেত্রে সংসদীয় কমিটি থাকা দরকার। পাশাপাশি আইন সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অধীনে সাংবিধানিক আদালত থাকাও দরকার। এই দুটো বিষয় থাকলে ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত কোন সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। শপথ নেয়ার পর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কেউ যদি ভঙ্গ করেন, সেটার জন্য আইনের বিধান অনুযায়ী যা হওয়ার তাই হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা)কে বাদ দিয়ে মীর কাসেমের মামলার আপিল শুনানি পুনরায় করার দাবি জানান দুই মন্ত্রী। এ বক্তব্য মিডিয়ায় প্রকাশের পর গত ৮ মার্চ দুই মন্ত্রীকে তলব করেন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। গত ১৫ মার্চ দুই মন্ত্রী আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন। তবে খাদ্যমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে আদালতে সময় চাওয়া হয়েছিল। আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য ২০ মার্চ দিন পুনর্নির্ধারণ করেন।
২০ মার্চ দুই মন্ত্রী আদালতে হাজির হয়ে তাদের বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন ও বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন। কিন্তু খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বক্তব্য সন্তোষজনক না হওয়ায় ২৭ মার্চ তাদের দু’জনকেই ফের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত। ২৭ মার্চ আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সরকারের দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী ৭ দিনের মধ্যে ওই জরিমানার টাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও লিভার ফাউন্ডেশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদ-ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৮ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন