বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিনিয়োগ বাড়াতে কর প্রণোদনার পরামর্শ

প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে বিনিয়োগে বাজেটে কর প্রণোদনা দেয়া, উচ্চশুল্ক বাধা দূর করা, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়সহ একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা।
গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থনীতিবিদরা এসব কথা বলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রাক-বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। শুল্কনীতির সদস্য ফরিদ উদ্দিন, মূসকনীতির সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, আয়কর নীতির সদস্য পারভেজ ইকবার ও বোর্ড প্রশাসনের সদস্য তন্দ্রা শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রতিবছরই বাজেটের আকার বাড়ছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) বাজেটের আকার বাংলাদেশের বাজেটের ১০ ভাগের ১ ভাগও না। অথচ বাংলাদেশের কর জিডিপি অনুপাত ১১ শতাংশ। পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালের অনুপাত ১৮ থেকে ১৯ শতাংশ। কর ফাঁকি রোধ করতে নতুন ভ্যাট আইন ও কম্পিউটারাইজড পদ্ধতি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে নতুন আইনের কারণে যতটুকু কর আদায় বেড়েছে তার চেয়ে পিছিয়ে না পড়ে।
বাজেট পরামর্শে তিনি বলেন, পে-রোল ট্যাক্স কর আদায়ের বড় খাত হতে পারে। উন্নত বিশ্বে পে-রোলের মাধ্যমে বিপুল অংকের ট্যাক্স আদায় করা হয়। প্রোপার্টি ট্যাক্স ও মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্স কার্যক্রম সমন্বয় করতে পারলে কর আদায় বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, নিয়মিতভাবে ঋণ পরিশোধ করলে সুদে রিবেট দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। এটাতো ভয়াবহ কথা। তাহলে ধরে নেয়া হচ্ছে, ঋণ পরিশোধ না করাই নিয়ম।
জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালাতি তেলে দাম কমানো হলেও দেশীয় বাজারে কমানো হয়নি। এর পুরো সুবিধা বেসরকারি খাতকে না দিয়ে বাজেটে নেয়া হচ্ছে। ভারতেও তেলের মূল্য হ্রাসের সুবিধা অর্থনীতিতে দিয়ে দেয়া হয়েছে। নতুন পে-স্কেলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধির জন্যই এটি করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার বিস্কুট আমদানিতে উচ্চশুল্কের উদাহরণ দিয়ে বলেন, দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে আমদানি পণ্যে উচ্চশুল্ক আরোপ করা হয়। এতে মাঝে-মধ্যে ভোক্তাদের অধিকার ক্ষুণœ হয়। ভোক্তাদের অ্যাসোসিয়েশন না থাকায় তাদের দাবিগুলো এনবিআরে জানাতে আসতে পারে না। দেশে সীমিত উৎপাদিক পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।
করজাল বাড়াতে উপজেলার ন্যায় গ্রামেও কর মেলার আয়োজনের পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা পরিষদের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ছোট কৃষকদের অসুবিধা না করে কৃষিতে কর আরোপের বিষয়টি ভাবতে হবে। টোবাকোতে সিগারেটের কর বাড়ানো হলে বিড়িতে বাড়ানো হয়নি। এতে সিগারেটের বিরাট অংশের ভোক্তা বিড়িতে আসক্ত হচ্ছেন। সিগারেটের তুলনায় বিড়ি বেশি ক্ষতিকর বিধায় বিড়িতে কর বৃদ্ধির বিষয়টি ভাবা যায়। বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ কর ছাড় দেয়ার দাবি জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন