শেষ দিনেও জন স্রোত এবারে রফতানি আদেশ ১৯ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। কেউ যদি শর্ত দেয়... কালকেও দেখলাম একটি দল ৬টি শর্ত দিয়েছে। এ শর্ত বাস্তবায়নযোগ্য নয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আয়োজনে গতকাল মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, পূর্বাচলে ৩৫ একর জমির ওপর বাণিজ্য মেলার স্থায়ী জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। চীনা প্রতিষ্ঠানকে এই প্রজেক্টের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে। এবার মেলা থেকে ইপিবি অনেক মুনাফা করেছে জানিয়ে তোফায়েল বলেন, অতীতের তুলনায় এবারের মেলা অনেক সুন্দর হয়েছে। এবার মেলা এতো সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে তার কারণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল।
এদিকে গতকাল পর্দা নেমেছে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। গতকাল শেষ দিনেও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোতে। ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে বিক্রেতাদের। এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১৬০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার (১৯ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) রফতানি আদেশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
মেলার শুরু ও মাঝে শৈত্যপ্রবাহের কারণে ভিড় কম থাকলেও শেষের দিকে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগম জনস্রোতে রূপ নেয়। তারপরও ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ দিন মেলার সময় বাড়ানো হয়। এতে বিক্রেতারা শৈত্যপ্রবাহের সময়ে হওয়া ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছেন।
মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আবদুর রউফ বলেন, শৈত্যপ্রবাহের কারণে মাঝখানে লোক সমাগম কম হলেও শেষের দিকে ভিড় ছিল। বিগত বছরের তুলনায় ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা সবার সহযোগিতায় সফলভাবে মেলা শেষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেরার শেষ দিন হওয়ায় দর্শনার্থীদের সমাগম বেড়ে জন স্রোতে রূপ নেয়। আগতদের সবাই সাধ্যমতো কেনাকাটা করেছেন। মেলায় সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে গৃহস্থালি বিভিন্ন পণ্যের প্রতি। শেষ মুহূর্তে পণ্য বিক্রি করতে ও ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দিয়েছেন বিক্রেতারা পাশাপাশি ছিল নানা উপহার।
সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবার বাণিজ্য মেলা থেকে আগের বছরের তুলনায় ১৭ কোটি টাকা বেশি রফতানি আদেশ পাওয়া গেছে। গত বছর রফতানি আদেশ পাওয়া যায় ১৪৩ কোটি টাকা। রফতানি আদেশের পাশাপাশি এবার মেলায় বিক্রি হয়েছে ৮৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ইপিবি আরও জানিয়েছে, এবার মেলার নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। গত বছর নির্মাণ ব্যয় হয় ৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, এবারের ২৩তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৫৮৯টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন ছিল। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট প্যাভিলিয়ন ছিল ১১২টি। ৭৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন ছাড়াও ছিল ৪০০টি স্টল। ১৭টি দেশের মোট ৪৩টি পপ্রতিষ্ঠানের মেলায় অংশ নেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন