বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

আরামবাগের প্রথম

| প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলে এর আগে তিনবার ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেললেও স্বাধীনতা কাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ এই প্রথম খেলছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে ওয়ালটন স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠে বড় চমক দিল তারা। টুর্নামেন্টের আগের ম্যাচ কোয়ার্টার ফাইনালে আরামবাগ ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে। এবার সেমিফাইনালে মতিঝিল ক্লাব পাড়ার দলটি বিদায় করলো শেখ জামালকে। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপের শেষ চারের প্রথম ম্যাচে আরামবাগ ১-০ গোলে শেখ জামালকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল। ম্যাচের অন্তিম মূহূর্তে বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ জুয়েল।
এবারের স্বাধীনতা কাপে আরামবাগ প্রিমিয়ার লিগের সেরা চার দলের মুখোমুখী হয়ে সবার কাছ থেকেই পয়েন্ট আদায় করে নেয়। টুর্নামেন্টের গ্রæপ পর্বে তারা লিগের তৃতীয় ও চতুর্থস্থান অর্জনকারী দল চট্টগ্রাম আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ড্র করে ‘ডি’ গ্রæপ রানার্সআপ হয়ে শেষ আটে জায়গা পায়। কোয়ার্টারে লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীকে বিধ্বস্ত করে উজ্জীবিত আরামবাগ সেমিফাইনালে বধ করে শেখ জামালকে। এবার পালা ফাইনালে জ্বলে ওঠার।
কোয়ার্টার ফাইনালে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে বড় জয় পেয়ে আতœবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা আরামবাগের খেলোয়াড়রা প্রাধান্য বিস্তার করে খেলেই জামালকে হারিয়েছে। যদিও গোলের জন্য শেষ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। বরেন্য কোচ মারুফুল হকের শিষ্যরা বেশ ক’টি সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে এবং জামালের গোলরক্ষক নাঈম কয়েকটি দুর্দান্ত না খেললে আরামবাগের জয়ের ব্যবধানটা বড়ই হতে পারতো। যদিও কাল ম্যাচের শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ শেখ জামালের কাছেই ছিলো। তবে ধীরে ধীরে তা নিজেদের করে নেয় আরামবাগ। প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের প্রথমার্ধ এগিয়ে চললে জামালই গোলের প্রথম সুযোগ পায়। ম্যাচের ২৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের বাইরে থেকে জামাল ডিফেন্ডার আনিসুর আলম সুইডের বাঁ পায়ের দূরপাল্লার ভলি ফিস্ট করে ফেরান আরামবাগ গোলরক্ষক আজম খান। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ক্রসবারে লেগে বল ফিরে আসলে হতাশা বাড়ে জামাল শিবিরের। এসময় বাঁ দিক থেকে জাহেদ পারভেজ চৌধূরীর ক্রস এক ড্রপ খেয়ে গোলরক্ষক আজমের গøাভস ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। গোলশূণ্য অমিমাংসিত প্রথমার্ধ শেষ হলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়ে আরামবাগ। এই অর্ধে তারা একাধিক সুযোগ সৃষ্টি করলেও গোল পায় ম্যাচের শেষ দিকে। ৫০ মিনিটে বাঁ দিকের ডি বক্সের ভেতর থেকে আরামবাগ অধিনায়ক আবু সুফিয়ান সুফিলের চিপ সাইডবার ঘেষে বেরিয়ে যায়। পরে দুই মিনিটের মধ্যে দারুণ দু’টি সুযোগ হারানোর হতাশায় পুড়াতে হয় আরামবাগকে। ৫৮ মিনিটে ছোট ডি-বক্সের ভেতর থেকে দুর্বল শট নেন আরামবাগ ফরোয়ার্ড জুয়েল। এরপর গোলরক্ষককে একা পেয়েও আরিফের নেয়া শট ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ম্যাচের ৬২ মিনিটে জুয়েলের আরেকটি দূর্বল শট গোলমুখ থেকে ফিরিয়ে শেখ জামালকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন বদলি ডিফেন্ডার রফিকুর রহমান মামুন। ৮৭ মিনিটে জাহিদের দৃঢ়তায় বড় বেঁচে যায় আরামবাগ। এসময় ডান দিকে ডি-বক্সের ভেতর থেকে জাভেদ খানের ক্রস শেষ মুহূর্তে আটকান এই ডিফেন্ডার। দু’মিনিট পরের সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় আরামবাগ। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে অধিনায়ক আবু সুফিয়ান সুফিলের কাট ব্যাকে জুয়েলের শট গোলরক্ষক নাঈমের গায়ে লেগে জালে জড়ায় (১-০)। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের যোগ করা সময়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে শেখ জামাল। কিন্তু নুরুল আবসার ও জাভেদের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের। ম্যাচ শেষে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি ও ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব একেএম মোমিনুল হক সাঈদ মাঠে উপস্থিত হয়ে খেলোয়াড়দের জন্য ৪ লাখ টাকা বোনাস ঘোষনা করেন। আজ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী খেলবে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন