ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার চাঁদপুর এলাকা থেকে দৈনিক মানবজমিন ও স্থানীয় নবচিত্র পত্রিকার শৈলকূপা প্রতিনিধি ওয়ালীউল্লাহকে পুলিশ পরিচয়ে উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর এই ঘটনা ঘটে। তবে শৈলকূপা থানা পুলিশ সাংবাদিক ওয়ালীউল্লাহকে আটকের কথা অস্বীকার করেছে। ওয়ালীউল্লাহর নিটকতম এক বন্ধু ও চাঁদপুর মসজিদের মুসল্লীগন জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ে সাংবাদিক ওয়ালীউল্লাহ মসজিদ থেকে বের হওয়া মাত্রই সাদা পোশাকে শৈলকূপা থানার এএসআই কামরুজ্জামান ও এএসআই হুমায়ন কবীর ওয়ালীউল্লাহকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা ওয়ালীউল্লাহকে জানায় শৈলকূপার ওসি (তদন্ত) আক্কাচ আলী স্যার আপনার সাথে কথা বলবেন। এরপর পর থেকে তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। শৈলকূপা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহিন আক্তার পলাশ জানান, ওয়ালীউল্লাহর প্রতি নানা কারণে শৈলকূপা থানার ওসি তদন্ত আক্কাচ আলী ক্ষুব্ধ ছিলেন। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে ওসি তদন্ত আক্কাচ আলী এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানার ওসি তদন্ত আক্কাচ আলী অভিযোগ খণ্ডন করে জানান, আমার ৪টি টিম মাঠে কাজ করছে। খোঁজ নিয়ে দেখেছি কেও সাংবাদিক ওয়ালীউল্লাহকে আটক করেনি। মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধির মাধ্যমে খবরটি পেয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, ডিএসবি বা ডিবি পুলিশও তাকে আটক করতে পারে। তবে ডিবির ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমরা বিকাল পর্যন্ত ওয়ালীউল্লাহ নামে কাউকে আটক করিনি। এদিকে শৈলকূপার সাংবাদিক ওয়ালীউল্লাহকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জেলার সিনিয়র সাংবাদিকরা ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখকে অবহিত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন