শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্পোরেট

মোড়ক নয় শুল্কায়ন হবে পণ্যের ওজনের ওপর

| প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আমদানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণে এখন থেকে শুধু পণ্যের নিট ওজনের ভিত্তিতে শুল্কায়ন হবে। বাণিজ্য সুবিধা, দ্রুত আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন ও পণ্য খালাসের জন্য মোড়কের শুল্কায়নের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর সদস্য (শুল্কনীতি ও আইসিটি) মো. ফিরোজ শাহ আলমের সই করা আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সই করা আদেশে পণ্য শুল্কায়নের ক্ষেত্রে ২০১৭ সালের অক্টোবরে দেওয়া নির্দেশনা স্থগিত করেছে এনবিআর। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
শুল্ক আইন ও বিধিমালা, ২০০০ অনুযায়ী গত বছরের অক্টোবরের আগে পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা ও আমদানিকরা মোড়কজাত (প্যাকেজিং) পণ্যের শুধু ওজনের (নিট ওয়েট) ওপর শুল্ক দিয়ে আসছিলেন। এ ছাড়া কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের ভ্যালুয়েশন ডাটাবেজ মোড়কের ওপর লেখা পণ্যের মূল্যের ভিত্তিতে এত দিন কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্যের শুল্কায়ন করে আসছেন। কিন্তু ২০১৭ সালের অক্টোবরে এনবিআর পণ্যের মূল্যের সঙ্গে মোড়কের মূল্য যোগ করে শুল্কায়ন করার নির্দেশনা জারি করে। এ নিয়ে কাস্টমস হাউসে শুল্কায়নে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, আমদানি করা যেসব পণ্য (প্যাকেট/বোতল/জার কিংবা অন্যান্য উপাদান) বাজারে মোড়কসহ বিক্রি হবে তার গ্রস ওয়েট (মোড়কসহ ওজন) শুল্কায়ন করতে হবে। এই মোড়কের অন্তর্ভুক্ত বোতল, টিনের কনটেইনার, কাগজের প্যাকেট, স্টিল, লোহা, গ্লাস অ্যালুমিনিয়ামসহ যেকোনো প্যাকিং উপাদান।
ওই ধরনের আদেশের পরপরই ব্যবসায়ীরা এ আদেশের বিরোধীতা করে এ নির্দেশনা প্রত্যাহারে এনবিআরকে চিঠি দেয়। জটিলতা নিরসনে কাস্টমস হাউস ও কমিশনারেট পৃথক চিঠি দেয়। ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, বাংলাদেশ এখনো মোড়ক তৈরির ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি। মোড়কের শুল্কায়নের ফলে পণ্যের ব্যয় বাড়বে, দ্রুত পণ্য খালাস হবে না এবং পণ্য মূল্য বৃদ্ধি পাবে।
কাস্টমস হাউস ও কমিশনারেট চিঠিতে উল্লেখ করে, আমদানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ বিধিমালায় পণ্যের মোট ওজন বিবেচনায় নিয়ে শুল্কায়ন করার কথা বলা আছে। অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের ডাটাবেজও পণ্যের মোট ওজন বিবেচনায় নিয়ে শুল্কায়নের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন করে মোড়কের আলাদা শুল্কায়ন করা হলেও তা অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডে যুক্ত হয় না। ফলে শুল্কায়নে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত শুল্কায়নের জন্য নির্দেশনায় বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ আদেশের ফলে কাস্টমস হাউস ও কমিশনারেটে আমদানি করা পণ্যের জট লেগে যায়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এ সংক্রান্ত দুইটি প্রতিবেদন এনবিআরে জমা দেয়। প্রতিবেদনে আদেশটি বাতিল করার অনুরোধ জানানো হয়। এ নিয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি এনবিআরে বৈঠক হয়। বৈঠকে সম্প্রতি এনবি আরের দেওয়া নির্দেশনা স্থগিত করা হয়। নতুন এ আদেশের ফলে এখন থেকে আগের আইন ও বিধিমালা অনুসারে শুল্কায়ন সম্পন্ন হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন