স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতারা বলেছেন, আপনারা সকলেই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। কারো পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চলবে। আগামীদিনে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবেনা। এদেশের জনগণ খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই আগামী নির্বাচনে যাবে ইনশাল্লাহ। গতকাল (বুধবার) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাদ- দেওয়ার প্রতিবাদে এবং মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচিতে বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন।
এই দাবিতে টানা তিনদিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। শুরুও হয় সকাল ১০টায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই নেতাকর্মীরা অনশনস্থল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে ভিড় করতে থাকে। ১০টার আগেই সেখানে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। এতে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, ২০ দলীয় জোটের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করেন। তবে দুপুর ১টার মধ্যে অনশন কর্মসূচি শেষ করতে অনুরোধ জানায় পুলিশ। আইনশৃক্সক্ষলা বাহিনীর অনুরোধে নির্ধারিত সময়ের ৩ ঘন্টা আগেই অনশন শেষ করে বিএনপি। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বরেণ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।
অনশন কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে আমাদের অনশন বিকেল চারটা পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমাদেরকে দুপুর একটার মধ্যেই কর্মসূচী শেষ করতে হয়েছে। আমি আজকের এই অনশন কর্মসূচী থেকে সরকারের কাছে আহ্বান রাখবো আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়াই আবারো একতরফা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু সেটা হতে দেয়া হবেনা। সরকার দেশনেত্রীকে বন্দি করে আগুনে হাত দিয়েছে। তারা আগুন নিয়ে খেলছে। মনে রাখবেন এদেশের জনগণ খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই আগামী নির্বাচনে যাবে ইনশাল্লাহ।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এই সরকার একটি ভূয়া বানোয়াট মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং বিএনপিকে দুর্বল করতেই এটা করা হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে দুর্বল করা যাবেনা। আমরা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমেই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করে আনবো ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, আগামীদিনে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবেনা। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। আরো আন্দোলন হবে। খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবেনা।
মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে দেশের মানুষের স্বাধীনতা নেই। অথচ আমরা একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। দেশের স্বাধীনতা আজকে হুমকির সম্মুখে। আজকে ৪ দিন ধরে যারা খালেদা জিয়াকে কারাগারে ডিভিশন দেননি তাদের ব্যাপারে মামলা ও বিচারের প্রক্রিয়া নেয়ার জন্য মহাসচিবকে বলেন তিনি। বিএনপির এই নেতা বলেন, চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে বেগম জিয়ার মামলার রায়ের কপি পাওয়ার কথা থাকলেও তা মেলেনি। আসলে তাদের দীর্ঘসূত্রিতা প্রমাণিত হয় তারা খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রাখতে চায়।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিচারকদেরকে ক্যালকুলেটর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২ কোটি টাকার জন্য যদি পাঁচ বছর জেল হয় তাহলে হলমার্ক সহ বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের জন্য কত বছরের জেল হবে? সেটা মাথায় হিসাব করা যাবেনা। এ জন্য বিচারকদেরকে ক্যালকুলেটর দেয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।
অনশনে অংশ নেয়া হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে প্রেসক্লাবের সামনে সড়কের একপাশে কদম ফোয়ারা মোড় থেকে সচিবালয় মোড় পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। নেতাকর্মীরা ‘বুলেট দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘আমার মা জেলে কেনো? হাসিনা জবাব দে’, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, মুক্তি চাই’, ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে আগুন জ্বলবে ঘরে ঘরে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
একপর্যায়ে ধীরে ধীরে কর্মসূচীতে ২০ দলীয় জোট, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী ও কৃষিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন। মহিলা কর্মী-সমর্থকদেরর উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য। বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনশন কর্মসূচী ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেন। এরআগে গত মঙ্গলবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী, সোমবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সহ সারা দেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় অনশন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মীর্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আতাউর রহমান ঢালী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সালাহউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগরীর বজলুল বাসিত আঞ্জু, কাজী আবুল বাশার, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহম্মেদ, যুবদলের মোরতাজুল করিম বাদরু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, ছাত্রদলের মামুনুর রশিদ মামুন, আসাদুজ্জামান আসাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহবায়ক প্রফেসর ড. আখতার হোসেন খান। বিশ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে বক্তৃতা দেন, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এমএ রকীব, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির একাংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, অপর অংশের হামদুল্লাহ আল মেহেদি, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ফজলুল হক মিলন, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, আমিনুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, হারুনুর রশীদ, বেবী নাজনীন, মো: মুনির হোসেন, আবদুল আউয়াল খান, জয়ন্ত কুমার কু-ু, শামীমুর রহমান শামীম, কাদের গনি চৌধুরী, রিয়াজ উদ্দিন নসু, শেখ রবিউল আলম রবি, রফিক সিকদার, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ, শামসুজ্জামান সুরুজ, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, নূরুল ইসলাম নয়ন, আ ক ম মোজাম্মেল, ঢাকা মহানগরীর হাবিবুর রশীদ হাবিব, তানভীর আহমেদ রবিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরাজ্জামান, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, শহিদুল্লাহ ইমরান, ছাত্রদলের আলমগীর হাসান সোহান, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, মফিজুর রহমান আশিক, রাজীব আহসান চৌধুরী পাপ্পু, জিয়া পরিষদের কবীর মুরাদ, ড. এমতাজ হোসেন, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, শ্রমিক দলের নূরুল ইসলাম খান নাসিম, জাসাসের হেলাল খান, শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, সালাউদ্দিন ভুঁইয়া শিশির, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, উলামা দলের হাফেজ এম এ মালেক, শাহ নেছারুল হক প্রমুখ নেতারা ছিলেন।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী সাদা দলের শিক্ষকেরাও অনশন কর্মসূচীতে অংশ নেন। প্রফেসর ড. আখতার হোসেন খান এবং ড. মোর্শেদ হাসান খানের নেতৃত্বে ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. নূরুল আমিন, ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, ইসরাফিল প্রামাণিক রতন, অনুপম সেন, দেবশীষ পাল, ড. গোলাম রব্বানী, আবুল কালাম আজাদ, সাবরিনা, আলামিন প্রমুখ। শিক্ষকেরা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।
এদিকে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারাও অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন। এর মধ্যে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির একাংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, অন্য অংশের হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বক্তব্য রাখেন। অনশনের শেষ দিকে ভিড় ডিঙিয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রফেসর আবদুল হালিম অনশনস্থলে আসেন। তিনি দুই মিনিট থেকে নেতাদের সঙ্গে করমর্দন করে চলে যান।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিকেল ৪টা পর্যন্তই অনশন করছেন। তার সাথে অনশনে অংশ নেন সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, আমিনুল ইসলামসহ বিএনপির কার্যালয়ের স্টাফবৃন্দ।
এদিকে বেলা ১২ টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছোটাছুটি শুরু করলে দেখা যায়, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে গ্রেফতারের জন্য তার পিছু নেয়। ডিবি পুলিশের দলটি প্রেসক্লাবের ভেতর দিয়ে সচিবালয়ের সামনে যায়, এরপর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। তবে কাউকে গ্রেফতার বা আটকের খবর পাওয়া যায়নি।
তবে অনশনে আসার পথে ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি জহিরউদ্দিন তুহিন রয়েছেন। গতকাল দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে তাদের আটক করা হয় বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল।###
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপি। নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় মাঠে নগর বিএনপির অনশন কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচি চলে। বিকেলে শরবত পান করিয়ে কর্মসূচি ভাঙান প্রবীণ আইনজীবী কবির চৌধুরী। অনশনে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, মহানগর বিএনপি নেতা এ এম নাজিম উদ্দিন, এম এ হান্নান, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোঃ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজসহ বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তর জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা এম এ হালিম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, আজম খান, জসীম সিকদার, সেকান্দর চৌধুরী, জসীম উদ্দিন চৌধুরী, সেলিম চেয়ারম্যান, মোঃ মোস্তফা কামাল পাশা, সৈয়দ নাছির উদ্দিন, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, তোফাজ্জল হোসেন, মোবারক হোসেন কাঞ্চন চেয়ারম্যান, জহুর আহমেদ, জাকির হোসেন, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার প্রমুখ। বক্তাগণ অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। তারা বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে সরকার নিজেই তার পতনের ঘণ্টা বাজিয়েছে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আনা হবে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদন্ডের প্রতিবাদে অনশন। গতকাল সকালে নগরীর ভূবনমোহন পার্কে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসুচি পালন করা হয়। শত শত নারী পুরুষ এতে অংশ নেন। অনেকে রেখেছিলেন রোজা। মহিলাদের কারো হাতে তসবিও দেখা যায়। এতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, নগর বিএনপি সভাপতি সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনসহ যুবদল-ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দল ও মহিলা দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান অনশন কর্মসুচিতে একাত্বতা ঘোষনা করে। বিএনপি নেতারা বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার বিচার বিভাগের সাথে ষড়যন্ত্র করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা দুর্নীতি মামলায় কারাগারে প্রেরণ করেছে। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্যান্য নেতাদের কারাগারের নির্দেশ দিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই হাস্যকর বিষয়টি ফুটে উঠেছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মতে আমরা আজ এ অনশন কর্মসূচি পালন করেছি। আমাদের এখন একটাই দাবি শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে সরে আসতে হবে। আর এই আন্দোলনে সাধারণ জনগন আমাদের সাথে আছে।
সিলেট ব্যুরো জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা বাতিলের দাবিতে সিলেটে বিএনপির অনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তবে সিলেটে রাষ্ট্রপতির সফরের কারণে নিরাপত্তা জনিত কারণে পুলিশের অনুরোধে নির্ধারিত সময়ের চারঘন্টা আগেই অনশন কর্মসূচি শেষ করে নেয় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।
গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে রেজিস্ট্রারি মাঠে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল ১১টার দিকে কোতোয়ালী থানার ওসি গৌসুল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রেজিস্ট্রারি মাঠে যান। তারা রাষ্ট্রপতির সফরের কারণে নিরাপত্তার জনিত কারণে অনশন কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করার অনুরোধ করেন। পরে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা এম এ হকের মোনাজাতের মাধ্যমে অনশন কর্মসূচি শেষ করে নেয়া হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর সভাপতি নাছিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সহ সভাপতি সালেহ আহমদ খসরু, এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত সাদেক, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, আবদুল আহাদ খান জামাল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মীনী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই ভাষার মাসেও যদি তাকে মুক্তি দেয়া না হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে আমরন অনশন কর্মসূচীর ঘোষনা দেয়া হবে। অতীতেও আমরা কর্মসূচী দিয়ে ছিলাম আগামীতে দিবো। বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচী পালন কালে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার কালিবাজর এলাকায় বেলা ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষনা মোতাবেক এ অনশন কর্মসূচী। মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম এর নির্দেশনায় এবং সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল এর নেতৃত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলো সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু সহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। অনশন শেষে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর মোখে পানি কর্মসূচীর সমাপ্ত ঘোষনা করেন।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেলে প্রেরণের প্রতিবাদে এবং নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মধুখালী উপজেলা জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি ও পৌর বিএনপির আয়োজনে রেলগেটস্থ মধুখালী প্রেসক্লাব চত্ত্বরে অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়। অনশন চলাকালে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম আবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাবলু কুমার রায়, মো. শরিফুল ইসলাম ফকির, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হায়দার আলী মোল্যা, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মো. ইয়াসিন বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস বিশ্বাস জাপান, থানা ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন ইকবাল প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে লক্ষ্মীপুরে পৃথকভাবে বিএনপি’র গণঅনশন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপি’র সভাপতি আবুল খায়ের ভুঁইয়ার নেতেৃত্বে গণ অনশন কর্মসুচি পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন ভূইয়া, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিঙ্কন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মামুন প্রমুখ। অপরদিকে একই দাবীতে সকালে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবুর নেতৃত্বে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনশন কর্মসুচি পালন করে জেলা বিএনপি’র একাংশের নেতা কর্মীরা। এসময় বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, সহ-সভাপতি ছাইদুর রহমান চুট্টো, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ ব্যাপারী, জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন প্রমুখ। গণ অনশন থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবী জানান বক্তারা।
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের অনশন পালন করতে দেয়নি পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটায় উপজেলার উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পাদদেশে অনশন কর্মসূচি শুরুর ১৫মিনিটের মধ্যে মুরাদনগর থানা পুলিশ তা পন্ড করে দেয়। মহিলাদলের নেতাকর্মীরা অনশন কর্মসূচি শুরুর অল্পক্ষণের মধ্যে মাইক্রেবাস ও সিএনজিযোগে পুলিশের একাধিক টিম উত্তরপাড়ার শহীদমিনার প্রাঙ্গণে লাঠি, হকিস্টিক ও পুলিশের নিজস্ব অস্ত্র নিয়ে অনশন পালনকারী মহিলাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুরে গণ-অনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শহরের রাজবাড়ি সড়কের দলীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শিল্পপতি মোঃ সোহরাব উদ্দিন, বিএনপি নেতা শাহ রিয়াজুল হান্নান, যুবদল নেতা প্রভাষক বশির উদ্দিন, বশির আহমেদ বাচ্চু, বিএনপি নেতা কাজী মাহবুবুল আলম গোলাপ, আনোয়ারুল ইসলাম, আব্দুল মোতালেব, শাখাওয়াত হোসেন সেলিম, সাবেক ছাত্রদল নেতা হুমায়ূন কবীর রাজু, আনোয়ারা বেগম, গুলনাহার বেগম, হারুনুর রশিদসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
মাগুরা জেলা সংবাদদাতা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে মাগুরা জেলা বিএনপি ইসলামপুর পাড়া জেলা কার্যালয়ে এবং উপজেলা বিএন পি মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদের সামনে অনশন কর্মসুচি পালন করে। জেলা বিএনপির একাংশ বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ইসলামপুর পাড়া কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির সিসিয়র যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ মোকাদ্দেস আলী, যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবীব কিশোর, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, পৌর বিএনপির শেখ গাজিউর রহমান কর্মসুচিতে নেতৃত্ব দেন। এ সময় যুবনেতা আলী হোসেন, সগীর আহমেদ,মনসুর আহমেদ,এ আহমেদ সেলিম,আবুল বাশার রিপন, বিএনপির নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন। অপরদিকে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. শাহেদ হাসান টগরের নেতৃত্বে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অনশন র্মসুচি পালন করে।
মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্দ্যোগে অনশন কর্মসূচী। কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন। অনশন কর্মসূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, আনছারুল হক, ইলিয়াছ হোসেন, শেখ সাঈদ আহমেদ-সহ পৌর ,থানা ও জেলা নেতৃবৃন্দ।
মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠে মুক্তারপুরে গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার সকাল থেকে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে জেলার ৬ টি উপজেলার বি,এন,পি ও এর অঙ্গ: সংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মী অংশনেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই এর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন, নজরুল ইসলাম বাচ্চু মহিউদ্দিন আহমেদ,আতোয়ার হোসেন বাবুল, শহিদুলইসলাম, আ: আজিম স্বপন, তারেক কাশেম খান মুকুল,আমিনুল ইসলাম জসীম, নবাব সিরাজ প্রমুখ।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নাটোরের সিংড়ায় বিএনপির অনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। অনশন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড.মজিবুর রহমান মন্টু, পৌর সভাপতি দাউদার মাহমুদ, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইবরাহিম খলিল ফটিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হোসেন। পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তায়েজুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু, সহ-সভাপতি মহিদুল ইসলাম। উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি হিরাদুল ইসলাম প্রমুখ।
পাবনা জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার পাবনা জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরের লাহিড়ীপাড়া এলাকার কার্যালয়ের সামনে বেলা ১১টার দিকে প্রতীকি অনশন কর্মসূচি পালন করে। এ সময় অফিসের সামনের রাস্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে অনশন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ খান মন্টু,পৌর বিএনপি’র সভাপতি সাব্বির হাসান বাচ্চু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু প্রমুখ।
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে কেন্দীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে বুধবার সকালে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে ঘাটাইল উপজেলা ও পৌর বিএনপি। দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সাবেক মেয়র মঞ্জুরুল হক উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বুলবুল ভূইয়া ,পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন ধলা, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক সেন্টু, যুগ্ম সম্পাদক হেলালুর রহমান খান, খলিলুর রহমান, সাংগাঠনিক সম্পাদক জামুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যোন শামীম খান, পৌর বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক শামীম সরকার, দিঘলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজার রায়ের প্রতিবাদে ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজানো রায়ের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি উদ্যোগে গতকাল বুধবার উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে সামনে অনশন কর্মসূচী পালন করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন- নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক একেএম নুরুল আফসার নয়ন, আদ্রা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শহীদ উল্ল্যাহ, জোড্ডা ইউপি বিএনপি সাবেক সভাপতি আবদুর রশিদ প্রমুখ।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার রায়ে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবীতে অনশন কর্মসুচী পালন করেছে জেলা বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে বুধবার সকালে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনশন কর্মসুচী পালন করে বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। অনশন কর্মসুচী চলাকালে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবু প্রমুখ।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ছাতকে বিএনপি অনশন কর্মসূচী পালন করেছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শহরের বাসষ্ট্যান্ডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনশন কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচীতে পৌর বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ তিতুমীর, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আকতার খান ছানা, বিএনপি নেতা লায়েক শাহ, সামছুর রহমান সামছু, কুতুব উদ্দিন, মনির উদ্দিন মেম্বার, বাকী বিলাহ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন