বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

অভিষেকের পাঁচকাহন

অনলাইনে ১৭ হাজার টিকিট শেষ হয়েছে ১ ঘন্টায় ৪ স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখাচ্ছে সিলেট সিক্সার্স

ফয়সাল আমীন | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চা বাগান আর পাহাড়ের মাঝখানে নির্মিত বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর ও অত্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার তত্ত¡াবধানে থাকায় সিলেটে এটিকে বিভাগীয় স্টেডিয়ামও বলা হয়ে থাকে। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আর দেশের একমাত্র গ্রীন গ্যালারিসমৃদ্ধ নান্দনিক এই স্টেডিয়ামে ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যুব বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে বেশকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। অতিসম্প্রতি এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)। এত কিছুর পরেও ক্রিকেটপ্রেমী সিলেটবাসীর মধ্যে ছিল একটি আক্ষেপ। সেটি হল স্টেডিয়ামটি উদ্বোধনের প্রায় ৫ বছর হয়ে গেলেও এ মাঠে খেলেনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। তবে সিলেটবাসীর এই আক্ষেপ পূরণ হলো গতকাল। বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ-শ্রীলংকার মধ্যকার দুটি টি-২০ ম্যাচের শেষ খেলার মাধ্যমে সিলেট স্বাক্ষী হল নতুন এক ইতিহাসের। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ইতিহাসের সাথে যুক্ত হলো বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই স্টেডিয়ামটি। এবারই প্রথম বারের মত সিলেটের মাটিতে খেলল টেস্ট খেলুড়ে দুটি দল। এর মধ্যে দিয়ে রচিত হলো সিলেটে জাতীয় দলের অভিষেকের নানা বাঁকের পাঁচকাহন।
সেই ইতিহাসের পথে দুটি টি-২০’র সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে সিরিজে পিছিয়ে থাকলেও সিরিজের শেষ এবং সিলেটের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতে স্মরণীয় করে রাখতেই মাঠে নামে টাইগাররা। আগের দিন শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। অন্যদিকে সিলেটের মাঠে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে বেশকিছু উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা। ম্যাচের টস হয় বিশেষ কয়েন দিয়ে, যেটি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। ম্যাচের টিকেটেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এটি বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রথম ম্যাচ। আর, ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে এই ম্যাচকে ঘিরে করা হয়েছে একটি বিশেষ ক্রোড়পত্র। আরো ছিল আতশবাঁজিসহ নানা আলোকসজ্জা।
২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অনেকটা তড়িঘড়ি করে প্রস্তুত করা হয় স্টেডিয়ামটিকে। এসময় স্টেডিয়ামটিতে দর্শক ধারণ ক্ষমতা ছিল প্রায় ১৪ হাজার। ২০১৬ সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের নির্দেশনায় স্টেডিয়ামের পূর্বদিকের গ্যালারি স¤প্রসারণের উদ্যোগ নেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এ আসন বৃদ্ধির কাজ গত বিপিএল’র আগে শেষ হয়েছে। প্রায় এক বছর কাজের পর দৃষ্টিনন্দন এই মাঠের দর্শক ধারণ ক্ষমতা বাড়ছে প্রায় ৪ হাজার। সৌন্দর্য বর্ধনের কাজটি আরো বহুগুণে বাড়িয়েছে গ্রীণ গ্যালারি। সব মিলিয়ে এখন এই মাঠে এখন প্রায় ১৮ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন