ছালাহউদ্দিন, আরব আমিরাত থেকে : গালফভুক্ত দেশগুলোর আয়োজনে দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে গতকাল ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে ৫ দিনব্যাপী শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক গালফফুড মেলা ২০১৮। এবারের মেলায় বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য প্রদর্শন করার লক্ষ্যে ৪২টি কোম্পানী নিয়ে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিষয়ে গত ১৭ ফেব্রæয়ারী শনিবার বেলা ১১টায় এক প্রেস ব্রিফিং-এর আয়োজন করে দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল।
কনস্যুলেট জেনারেল ভবন কনফারেন্স হলরুমে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. এ কেএম রফিক আহাম্মদ-এর সঞ্চালনায় কনসাল জেনারেল এস. বদিরুজ্জামান প্রেস ব্রিফিং করেন। কনসাল জেনারেল বলেন, বাংলাদেশের শুকনো খাদ্য পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য, হিমায়িত মাছ, চিংড়ী ও লবস্টার, সবজী, সেরিয়াল, মশলা, ফলের জুস, কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক ইত্যাদি খাদ্যপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো তথা বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক প্রণোদনা এবং দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল-এর সার্বিক সহায়তার ফলে বাংলাদেশের কোম্পানীসমূহের পক্ষে দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের এমেলায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. একেএম রফিক আহাম্মদ বলেন, মেলাটি মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের সর্ববৃহৎ এবং অত্যন্ত প্রসিদ্ধ একটি খাদ্য প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনীতে পৃথিবীর প্রায় ১৫০টিরও বেশি দেশের ক্রেতার সমাগম হয়ে থাকে। বাংলাদেশ অনেক বছর যাবৎ নিয়মিতভাবে এ মেলায় অংশগ্রহণ করে আসছে। এবারের মেলায় বাংলাদেশ অনেক বড় পরিসরে ৪২টি কোম্পানী নিয়ে ৩১৮ বর্গমিটার আয়তনের সুসজ্জিত প্যাভিলিয়নের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশী অংশগ্রহণকারী কোম্পানীসমূহের মধ্যে অত্যন্ত স্বনামধন্য খাদ্য রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানসমূহ রয়েছে।
এ সকল কোম্পানীসমূহ বর্তমানে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকার ১২০টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশ থেকে খাদ্যপণ্য রপ্তানী করে থাকে। কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আরো জানান, বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খাদ্যপণ্য রপ্তানীর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানীর প্রবৃদ্ধির হার ২৬%। এ মেলায় অংশগ্রহণ বাংলাদেশের খাদ্য পণ্য রপ্তানীর বাজার স¤প্রসারণসহ রপ্তানী বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রেস ব্রিফিং-এ মেলায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশী কোম্পানীসমূহের প্রতিনিধিগণ, স্থানীয় বাংলাদেশী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং কনস্যুলেটের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। এ মেলা চলবে ২২ ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন