মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

এই গ্রীষ্মেই যাত্রা করবে নতুন টাইটানিক

প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ডুবে যাওয়া টাইটানিকের চেয়ে অনেক বড় নতুন টাইটানিক এই গ্রীষ্মেই যাত্রা শুরুর জন্য প্রস্তুত। নাসার বিজ্ঞানীরা আর্কটিক সমুদ্রের বরফের নি¤œ মাত্রার রিপোর্ট দেয়ার পরই এর যাত্রার দিনক্ষণ ঠিক হয়। এদিকে, বিশাল এই জাহাজটির ডুবে যাওয়ার আশঙ্কাকে মাথায় রেখে মার্কিন ও কানাডীয় কোস্টগার্ড উদ্ধার কাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
ক্রিস্টাল সেরেন্টি নামের জাহাজটি আগামী আগস্টে আলাস্কা থেকে যাত্রা শুরু করবে এবং বেরিং স্ট্রেইট ও উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত ঘুরে ৩২ দিন পর এটি নিউইয়র্কে পৌঁছবে। মার্কিন ও কানাডীয় কোস্টগার্ড আগামী মাসেই উদ্ধার অভিযানের মহড়া শুরু করবে। ক্রিস্টালে যাত্রী থাকবে ১ হাজার ৭০ জন এবং ক্রু ৬৫৫ জন। কোস্টগার্ড ঘাঁটি থেকে ১ হাজার মাইল দূরে ১০০ যাত্রী নিয়ে ক্রিস্টালের ক্রু ও উদ্ধারকারীরা মহড়া চালাবে।
আলাস্কার কোস্টগার্ড অফিসের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার জেসন বয়েল জানান, জরুরি পরিস্থিতিতে কি করতে হবে, আমরা সে ব্যাপারে বেশ দক্ষ অনুশীলন গ্রহণ করবো। তিনি বলেন, এ ধরনের যাত্রায় বরফকাটা জলযান ও হেলিকপ্টার তো থাকবেই, সেই সাথে সেলফোনের ব্যবহারও নিশ্চিত করা হবে। এ ছাড়াও ক্রিস্টাল সেরেন্টিতে থাকবে ছোটখাটো একটি শহরের কিছু সুযোগ-সুবিধা। সেখানে হাসপাতাল ও ওষুধপত্র সরবরাহের ব্যবস্থাও থাকবে। তা ছাড়া বরফে স্বাচ্ছন্দ্যে কাটানো যায়, তেমনই পরিবেশ থাকবে জাহাজটিতে।
উপকূলীয় শহর নোম-এর মেয়র রিচার্ড বেনেভিল বলেন, যদি মন্দ কিছু ঘটেও, তবে তা হবে খুবই খারাপ খবর ও দুঃখজনক। এটা একটি ভিন্ন ধরনের জাহাজ। এতে ১০০ থেকে দেড়শ’ বেডের হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে নোমে আছে মাত্র ১৮ শয্যার হাসপাতাল।
জাহাজটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রান্তের যাত্রা হবে বেশ দুরূহ। এ সময় তেল ট্যাঙ্কার লিক হয়ে তেল নিঃসরণ হয়ে জাহাজের দুর্ঘটনায় পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। এতে জাহাজ না ডুবলেও এর ভিতরের পরিবেশ দূষণময় হয়ে উঠতে পারে। দেখা গেছে গত বছর এই পথে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ৫৪০টি জাহাজ আসা-যাওয়া করেছে, যা ২০০৮ সালের চেয়ে দ্বিগুণ। এগুলোর মধ্যে কোরিয়ার মালবাহী জাহাজ, রাশিয়ার তেল ট্যাঙ্কার, ছোট ধরনের জাহাজ ও এডভেঞ্চার-প্রিয়দের বহনকারী নৌযানও রয়েছে। ঐসব জাহাজেও জরুরি উদ্ধার ব্যবস্থা আছে।
গত ৪ মার্চ দুই ব্রিটিশ অভিযাত্রী বেরিং স্ট্রেইটে স্কি করার সময় উড়ে গিয়ে পাতলা বরফের স্তরের উপর পড়ে তলিয়ে গিয়েছিলেন। সে সময় ৭শ’ মাইল দূরের কোস্টগার্ডেও ঘাঁটি থেকে ২৪ জন উদ্ধারকারী দুটি হেলিকপ্টার ও একটি সামরিক পরিবহণ বিমানের মাধ্যমে উদ্ধারকাজ চালায়।
২০১৪ সালে চাকছি সাগর থেকে একটি গবেষণা জাহাজ উদ্ধার করা হয় এবং ২০১০ সালে ছোট একটি জাহাজ কানাডার আর্কটিকে বিপদের মুখে পড়লে এর ৩০০ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। নাসার রিপোর্টে বলা হয়েছে, আর্কটিকে রেকর্ড পরিমাণ কম বরফে যাত্রা ভালোই হবে। বিপদেও আশঙ্কা কম। গত শুক্রবার মহাকাশ সংস্থা জানায়, ২০১৬ সালে আর্কটিকে অল্প বরফের আরেকটি রেকর্ড হবে। দ্য গার্ডিয়ান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন