বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে নয় বছর আগে রক্তাক্ত বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিহতদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন করে শহীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহতদের কবরে প্রথমেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সহকারী সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী ইফতেখারুল আলম পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সেনাবাহিনীর প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নিহতদের প্রতি স্যালুট প্রদান করেন। পরে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এরপর তাদের পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নিহতদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ছাড়াও রোববার সব সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খতমের ব্যবস্থা করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদর দফতরে কতিপয় বিপথগামী উচ্ছৃঙ্খল সদস্যরা নিরস্ত্র সেনা সদস্যদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে শহীদ হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ জন কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন।
রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহের পর সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন