বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ম দর্শন

আপনার জিজ্ঞাসার জবাব

| প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রশ্ন : কোরআনের পথে তরুণদের দাওয়াত দিতে হবে কী?
উত্তর : আজকের তরুণরাই আগামী দিনে কোরআনের পথে আহŸান করবে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের নিকট কোরআনের আলো ছড়িয়ে দিবে। পরিবার সমাজ রাষ্ট্র কোরআনের আলোয় আলোকিত হয়ে সুন্দর একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করবে। আমরা খুন খারাবি হানাহানি মারামারি দ্ব›দ্ব সংঘাত মুক্ত একটি আদর্শ সমাজ পাবো। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, আজ সম্ভাবনাময় এ তরুণদের একটি অংশ আকাশ সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাবে হেরোইন, মদ, গাজা, ভাং, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, খুন, ধর্ষন, ইভটিজিং, হানাহানি, দ্ব›দ্ব, সংঘাত ও কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে। তরুণদের হাতে অন্ধকারের বহু অলি গলি পথ পাড়ি দিয়ে মরণ ব্যাধি ইয়াবা ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের নেশাজাত দ্রব্য পৌছে যাচ্ছে। তরুণদের কেউ কেউ রাত জেগে কোরআনের জ্ঞান চর্চার পরিবর্তে পার্ক ক্লাব চাইনিজে অশ্লীল নৃত্য নাচের আমোদ ফ‚র্তিতে ব্যস্ত থাকছে। অথচ তরুণদের অপর একটি অংশ যখন সরকারী বেসরকারী ব্যাংক বীমা কর্পোরেট কোম্পানীর চাকুরী কিংবা বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত। তখন নেশায় আসক্তরা অন্ধকারাচ্ছন্ন গলি পথে রাতভর আড্ডাবাজিতে মত্ত থাকছে। ইহার ফলে তরুণ সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই সকল মহল থেকে নেশায় আসক্ত তরুণদের হাতে বই খাতা কলম ও কর্ম ধরিয়ে দিতে হবে। তরুণদের মাঝে একটি সম্ভাবনাময় স্বপ্নের পৃথিবীর তৈরীর আশা জাগিয়ে তুলতে হবে। যার ফলে সমাজ রাষ্ট উভয়ই সুন্দর হবে। এছাড়া অশ্লীল মন্দ কাজ থেকে কোরআনের পথে ফিরিয়ে নিয়ে আসা একটি সওয়াবের কাজ। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘কেহ কোন ভাল কাজের সুপারিশ করলে উহাতে তাহার অংশ থাকিবে এবং কেহ কোন মন্দ কাজের সুপারিশ করলে উহাতে তাহার অংশ থাকবে।’ (সূরা নিসা: ৮৫)।
তরুণদেরকে অন্ধকারাচ্ছন্ন গলি থেকে বের করে কোরআনের পথে ফিরিয়ে এনে সমাজ পরিবার ও কর্মমূখী করা একটি উত্তম সৎ কর্ম। এছাড়া সৎ কর্ম করা এবং সৎ পথে আহŸান করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি বরকতময় কাজ। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘কেউ কোন সৎ কাজ করলে সে তার দশগুন পাবে, আর কেউ যদি অসৎ কাজ করে তবে তাকে তারই প্রতিফল দেয়া হবে আর তাদের প্রতি কোন জুলুম করা হবে না।’ (সূরা আনআম: ১৬০)। একজন তরুণকে অন্ধকার জগত থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে নিয়ে আসার অর্থই হলো পুরো সমাজ ব্যবস্থাকে আলোর দিকে নিয়ে আসা। নি:সন্দেহে বলা যায়, তরুণরা কোরআনের পথে ফিরে আসলেই পুরো সমাজের চেহারা ও দৃশ্যপট বদলে যাবে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমা ও বেহেশতের দিকে ধাবিত হও’। (সূরা আলে ইমরান:১৩৩)। তরুণদের আলোর পথে ফেরানো একক কোনো ব্যক্তি গোষ্ঠীর দায়িত্ব নয়। একটি সুন্দর ভবিষ্যত প্রজন্ম তৈরী করার তাগিদ থেকে সকলকে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে। তাহলে আমরা সামনের দিকে এগুতে পারবো। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে থেকে একটি দল থাকা উচিত যারা আহŸান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দিবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম।’ (সূরা আলে ইমরান:১০৪)।
কখনো কাউকে ভয় ভীতি দেখিয়ে আলোর পথে ফিরিয়ে আনা যায়নি। ভালো মানুষের সোহবতে সহজেই আত্মার বিপ্লব ঘটে। তরুণদের আলোর পথে ফেরাতে এখন ভালো মানুষের সোহবত খুবই প্রয়োজন। এখন সমাজে ভালো মানুষের খুব অভাব। তরুণদের কোরআনের পথে ফেরাতে সমাজের ভালো মানুষদের প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে তরুণরা কোরআনের পথে ফিরে আসতে উদ্ধুদ্ধ হবে।
উত্তর দিচ্ছেন: ফিরোজ আহমাদ

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন