বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

খেলাঘরের রোমাঞ্চকর জয়

ব্যর্থ শুভাগতর সেঞ্চুরি: মেনারিয়ার ৫ রানের আক্ষেপ

| প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। তারা কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে হারায় ১৫ রানের ব্যবধানে। একই পর্বের ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৪২ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। দিনের বাকি ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কলাবাগানের পরাজয়ের ভিত রচিত হয় তাদের ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই। ২৩৯ রানের জবাবে ৫ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে ৪ উইকেট! ৭ উইকেট হারায় ৩৪ রানে! এরপরই অষ্টম উইকেটে ১৩৬ রানের বিষ্ময়কর এক জুটি উপহার দেন রানের মধ্যে থাকা তাইবুর রহমান ও আবুল হাসান। জয়ের আবহ ভুলে খেলাঘর তখন উল্টো পরাজয়ের শঙ্কায়। এমন সময় আল মাহমুদের বলে তানভির ইসলামের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আবুল হাসান। তার আগে লিস্ট এ ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন এই পেস অল রাউন্ডার। ৪৭তম ওভারে তাইবুরের বিদায়ের পর কলাবাগানের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। ৮১ রান আরে তাইবুরের ব্যাট থেকে। এরপরও অল আউট না হয়ে ৯ উইকেটে ২২৩ রানে থামে কলাবাগানের ইনিংস।
এর আগে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খেলাঘরকে ২৩৮ রানে গুটিয়ে দেন কলাবাগানের বোলাররা। আগের ম্যাচে অপরাজিত শতক হাঁকানো মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান অশোক মোনারিয়া এবার ৯৫ রান করে জিতিয়েছেন দলকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন অমিত মজুমদার।
ফতুল্লায় চলেছে দেলোয়ার হোসেন শো। দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ ও মেহরব হোসেন জুনিয়রের ফিফটি এবং বাকিদের ছোট কিন্তু কার্যকরী অবদানে মাঝারি মানের সংগ্রহের দিকে হাটছিল প্রাইম ব্যাংক। কিন্তু আট নম্বরে ব্যাটে নেমে ছোট্ট এক ঝড় তুলে অগ্রণীর সামনে লক্ষ্যটা হঠাৎ বড় বানিয়ে দেন দেলোয়ার। ১৪ বলে ৫ ছক্কায় ৪১ রান করেন এই পেস অল রাউন্ডার। পরে বল হাতে গুটিয়ে দেন অগ্রণীর লেজ। তার আগে অগ্রণীর টপ অর্ডারে ঝড় তোলেন জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন। ২৭৩ রানের জবাবে আব্দুর রাজ্জাকের দলও গুটিয়ে যায় ২৩০ রানে। সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ধীমান ঘোষ।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে চলেছে পুরোদুস্তর ব্যাটিং প্রদর্শনী। প্রথমে অধিনায়ক শুভাগত হোমের লিস্ট এ ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি এবং আফিফ হোসেনের ফিফটিতে ৮ উইকেটে ২৮৮ রানের সংগ্রহ গড়ে শাইনপুকুর। ৯৮ বলে ১২টি চার ও ৪ ছক্কায় ১১৬ রান করেন শুভাগত। জবাবে টপ অর্ডারদের ব্যাটিং দৃড়তায় ৫ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য পূরণ করে ব্রাদার্স। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান দেবব্রত দাশ এবার করেন ৬০ বলে ৭৫ রান। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ১২ রানের জন্য শতক মিস করা ওপেনার মাইশুকুর। ৩৪ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির আলী।
শাইনপুকুর ও ব্রাদার্স- দুই দলেরই ছয় ম্যাচে জয় ও পরাজয় সমান ৩টি করে। খেলাঘরের পরিসংখ্যানও একই। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে চারে শাইনপুকুর, সাতে ব্রাদার্স আর আট নম্বরে খেলাঘর। ছয় ম্যাচে সমান ২টি করে জয় ও ৪টি করে হার প্রাইম ও অগ্রণী ব্যাংকের। পয়েন্ট তালিকাতেও তারা পাশাপাশি, যথাক্রমে নয় ও এগারো। মাত্র এক জয় পাওয়া কলাবাগান পয়েন্ট তালিকার তলানীতে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক-অগ্রণী ব্যাংক, ফতুল্লা
প্রাইম ব্যাংক : ৫০ ওভারে ২৭২/৮ (মারুফ ৫৪, মেহরাব জুনি. ৫২, দেলোয়ার ৪১*; শফিউল ২/৪৫, রাজ্জাক ১/৫৯, আজমির ১/১৪, রাজা ২/৫০)।
অগ্রণী ব্যাংক : ৪৬.৫ ওভারে ২৩০ (রাজা ৪২, ধীমান ৭৩, জাহিদ ৪৮*, ইশাক ৩৪; রুবেল ৩/৪৪, শরিপুল ২/৪৪, দেলোয়ার ৩/৪১, মনির ১/৩৪, ইউসুফ ১/৩৮)।
ফল : প্রাইম ব্যাংক ৪২ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : দেলোয়ার হোসেন (প্রাইম ব্যাংক)।

খেলাঘর-কলাবাগান, মিরপুর
খেলাঘর : ৫০ ওভারে ২৩৮ (মাহিদুল ২৫, অমিত ৪২, মেনারিয়া ৯৫; মুক্তার ২/২১, নাহিদ ২/৪৩, আবুল হাসান ১/৬১, রাহাতুল ৩/৪৪)।
কলাবাগান : ৫০ ওভারে ২২৩/৯ (তাইবুর ৮১, আবুল হাসান ৭৬, সঞ্জিত ৩১*; হাসান ৩/৪৭, রবি ২/২৪, আঞ্জুম ২/২৭, রাফসান ১/৪২, মাসুম ১/৪৪)।
ফল : খেলাঘর ১৫ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : অশোক মেনারিয়া (খেলাঘর)।

শাইনপুকুর-ব্রাদার্স, বিকেএসপি ৩
শাইনপুকুর : ৫০ ওভারে ২৮৮/৮ (আফিফ ৬৮, শুভাগত ১১৬, মিনহাজ ২৪; খালেদ ২/৫৭, রানা ১/৪৬, ইফতেখার ১/২১, শুভ ৩/৬৮, শাখাওয়াত ১/৫২)।
ব্রাদার্স : ৪৯.১ ওভারে ২৮৯/৫ (মিজানুর ৩৭, মাইশুকুর ৮৮, জুনায়েদ ৩১, দেবব্রত ৭৫, ইয়াসির ৪৫*; সাইফ ১/৪৮, সুজন ১/৩৯, রায়হান ২/৪৯, আফিফ ১/৩২)।
ফল : ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মাইশুকুর রহমান (ব্রাদার্স)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন