পাবনা জেলার চাটমোহর-মান্নাননগর ও চাটমোহর-টেবুনিয়া সড়ক, মহাসড়কের বেহাল অবস্থা। প্রতিটি সড়কেই অসংখ্য খানাখন্দ। কোনো কোনো স্থানে দেখতে কাঁচা সড়কের মতো। চরম দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে এলাকাবাসী ও যানবাহন চালকরা। জনগুরুত্বপূর্ণ চাটমোহর-মান্নাননগর সড়ক। সড়কটি এখনো উদ্বোধন হয়নি। চলনবিলের মাঝ দিয়ে নির্মিত সড়কটি এক সময় দেখতে এসেছিলেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চলনবিলের মাঝ দিয়ে নির্মিত সড়কটি এলাকাবাসীর জন্য আশীর্বাদ। কিন্তু এই আশীর্বাদ ক্রমেই অভিশাপে পরিণত হচ্ছে। বেহাল সড়কে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দকের। বওশা ঘাট হতে হান্ডিয়াল দরাপপুর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক দেবে উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। যান চলাচল চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বিলের মধ্যে সড়ক দেবে উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। গর্ত, ভাঙাচোরা, উঁচুনিচু ও খানাখন্দে এবড়োখেবড়ো হয়ে গেছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে পাবনা, ঈশ্বরদী, চাটমোহর, আটঘরিয়া এলাকার হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও ঢাকায় যাতায়াত করে। এই সড়কটি উদ্বোধনের আগেই করুন দশায় পরিণত হয়েছে। এদিকে চাটমোহর-টেবুনিয়া-পাবনা সড়কের বেহাল অবস্থা অবর্ননীয়। চরম দুর্ভোগের শিকার সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চালকরা। অসংখ্য খানাখন্দকের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সময় ব্যয় হচেছ দ্বিগুণ। চাটমোহর থেকে টেবুনিয়া পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা যেন গ্রামীণ সড়কে পরিণত হয়েছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে জেলা শহরের সাথে জেলার চারটি উপজেলার মানুষকে যোগাযোগ করতে হয়। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ভাঙাচোরা ও ক্ষতবিক্ষত সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে চাটমোহর-হরিপুর-জোনাইল সড়ক ও চাটমোহর-ফরিদপুর-বাঘাবাড়ি সড়কের। সবগুলো সড়কই যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন