শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

ক্যানসার প্রতিরোধে বেগুন

| প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সবজির জগতের রাজা হিসাবে পরিচিত বেগুন সেভাবে কদর না-পেলেও গুণে একে অবহেলা করা মোঠেই সম্ভব নয়। আসলে এই সবজিটি দিয়ে বানানো যে-কোন পদ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি গরীবেরও দারুন উপকারে লাগে। বিজ্ঞানীদের মতে, সপ্তাহে যদি মাত্র একদিন বেগুন খাওয়া যায়, তাহলেও শরীর নিয়ে আর কোনো চিন্তাই থাকে না।
উপকারীতা-
ল্ফ ক্যানসার প্রতিরোধ করেঃ ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ এই সবজিটির মাঝে মধ্যে খেলে শরীরে টনিক্স উপাদানের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ক্যানসার সেলের জন্ম হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। ফলে স্বাভাবিকই এই মরণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, ফাইবার মূলত কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। যেখানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষদের ক্ষত সারিয়ে সামগ্রিকভাবে শরীরকে তরতাজা করে তোলে।
ল্ফ ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ওজন কমাতে কিন্তু দারুনভাবে সাহায্য করে বেগুন। আসলে এই সবজিটির শরীরে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাওয়ার অভ্যাস কমতে শুরু করে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ১০০ গ্রাম বেগুনে মাত্র ২৫ ক্যালোরি থাকে। এই পরিমাণ ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।
ল্ফ হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করেঃ বেগুনে উপস্থিত ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬ এবং ফ্লেবোনয়েড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।
ল্ফ বøাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ গত এক দশকে সারা বিশ্বজুড়ে যে যে রোগের কারণে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল বøাড প্রেশার। তাই সময় থাকতে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আর এক্ষেত্রে বেগুন আপনাকে দারুণভাবে সাহায্য করতে পারে। প্রসঙ্গত, বেগুনে রয়েছে পটাশিয়ামসহ একাধিক উপকারী খনিজ, যা শরীরে লবনের পরিমাণও স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে থাকে। ফলে ব্লাড প্রেশার বাড়ার সুযোগ পায় না।
ল্ফ ডায়াবেটিসকে দূরে রাখেঃ পরিবারের যদি কারো ডায়াবেটিস থাকে তবে আজ থেকেই বেগুন খাওয়া শুরু করেন। কারণ এই সবজিটিতে উপস্থিত ফাইবার শরীরে শকরার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর পদার্থ ঠিকমতো বেরিয়ে যেতে পারে না। ফলে এদের প্রভাবে ধীরেধীরে ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখাও প্রকাশ পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য কমে যায়। এক্ষেত্রেও বেগুনের অবদানকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়। শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দিতে বেগুনের কোনো বিকল্প নেই বললে চলে। ফলে সপ্তাহে ১-২ দিন বেগুন খাওয়ার অভ্যাস করলে ত্বকের সৌন্দর্য তো কমেই না, উলটো আরও বেড়ে যায়।
ল্ফবেগুনে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সেল মেমব্রনকে নানাবিধ আঘাত থেকে রক্ষা করে। ফলে মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ হয়। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধি বাড়ে।

-আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিষ্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন