বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

হকিংয়ের চেয়ে বড় বিজ্ঞানী জামাল নজরুল ইসলাম

ড. মোহাম্মদ আমীন | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্টিভেন হকিংকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন মিডিয়ার লেখালেখি দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে লেখাগুলো অতিরঞ্জন দোষে দুষ্ট ও হীনম্মন্যতাপূর্ণ। কারণ এর চেয়ে বড়ো বিজ্ঞানী আমাদের ছিল কিন্তু তাকে নিয়ে আমরা এমন করিনি। তাই হকিংকে নিয়ে লেখা আমার কাছে বাড়াবাড়ি মনে হয়। এই বাড়াবাড়ি দেখে বুঝতে কষ্ট হয় না, আসলে বাঙালির কোনো আত্মমর্যাদা নেই। নেই স্বকীয় ঐতিহ্য তুলে ধরার সামর্থ্য। তারা কেবল নিজেদের অবহেলা করে পরকে মাথায় নিয়ে নাচে। সে কারণে অনেক মেধাবী থাকা সত্তে¡ও আমাদের অবস্থান পাতালের অতলে।
বলছিলাম, হকিংয়ের চেয়ে অনেক মেধাবী এবং বড়ো বিজ্ঞানী বাংলাদেশে ছিল। তিনি জামাল নজরুল ইসলাম। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪ ফেব্রæয়ারি ঝিনাইদহ শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বলা হয়, আধুনিক বিশ্বের সাত জন শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীর নাম নিলেও জামাল নজরুল ইসলামের নাম চলে আসবে। তিনি সারা বিশ্বে জেএন ইসলাম নামে পরিচিত এবং বিজ্ঞানীদের কাছে বাংলাদেশ জেএন ইসলামের দেশ হিসেবে পরিচিত। জেএন ইসলাম ছিলেন ক্যাম্ব্রিজে হকিংয়ের রুমমেট, বন্ধু এবং সহকর্মী। প্রায় অর্ধ ডজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ বন্ধু জেএন ইসলামকে বলা হতো আধুনিক পৃথিবীর অন্যতম মেধাবী মানুষ। কেন এমন বলা হতো, তার দুটি উদাহরণ দিই। ক্যাম্ব্রিজের ট্রিনিটি থেকে গণিতে ট্রাইপস পাস করতে লাগে তিন বছর। জেএন ইসলাম তা দুই বছরে শেষ করে বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিলেন। ২০০১ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর তাবৎ বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সে সময় জামাল নজরুল ইসলাম গণিতের হিসাব কষে পৃথিবীর মানুষকে আস্বস্ত করে বলেছিলেন, সে রকম কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ, প্রাকৃতিক নিয়মে সৌরজগতের সবগুলো গ্রহ একই সরলরেখা বরাবর চলে এলেও তার প্রভাবে পৃথিবী নামক গ্রহের কোনো ক্ষতি হবে না।
চট্টগ্রামের কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় এত ভালো করেছিলেন যে, শিক্ষকৃবন্দ তাকে ডাবল প্রমোশন দিয়ে এক শ্রেণি উপরে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের শিক্ষক ফাদার সোরে জেএন ইসলামকে ডাকতেন জীবন্ত কম্পিউটার বলে। অন্যান্য বিজ্ঞানী যেখানে কম্পিউটার ও ক্যালকুলেটর নিয়ে কাজ করতেন সেখানে জেএন ইসলাম এগুলি ছাড়াই বড়ো বড়ো হিসাব মুহূর্তে করে দিতেন। তিনি বলতেন, কম্পিউটার আমার কাছে অপ্রয়োজনীয়। তবে তিনি কম্পিউটারের সাধারণ প্রয়োজনীয়তা কখনো অস্বীকার করেননি।
একাধারে পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, বিশ্বতত্ত¡বিদ ও অর্থনীতিবিদ জেএন ইসলাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে হকিং বলেছিলেন, ‘জেএন ইসলাম আমার রুমমেট, বন্ধু এবং আমরা ছিলাম পরস্পর পরস্পরের শিক্ষক।’ ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত হকিং যেসব বিজ্ঞানীদের নিয়ে গবেষণা করেছেন, তন্মধ্যে জেএন ইসলাম ছিলেন অন্যতম। যেমন বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম রেডিও আবিষ্কার করলেও কৃতিত্ব চলে গিয়ছিল মার্কনির কাছে। ঠিক তেমনটি ঘটেছে জেএন ইসলামের ক্ষেত্রেও। স্টিফেন হকিং যদি বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী হন, তাহলে জেএন ইসলাম ব্রহ্মান্ড খ্যাত। বাংলাদেশের কোনো পত্রিকায় তাকে নিয়ে এভাবে লেখা হয়নি, যেমনটি লেখা হয়েছে হকিংকে নিয়ে। নিজের ভাই মহাশয়, এই জ্বালা কি প্রাণে সয়? বাঙালিরা এই বোধ থেকে কখন বের হয়ে আসতে পারবে জানি না।
পদার্থবিদ্যার আবিষ্কার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণ করতে হয় কিন্তু হকিংয়ের কোনো বর্ণনা তিনি প্রমাণ করতে পারেননি। এজন্য তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি। তাই অনেকে মনে করেন, হকিং যত বড়ো না বিজ্ঞানী তার চেয়ে বেশি বিজ্ঞানকল্পকাহিনির লেখক। তিনি মেধাবী ছিলেন নিঃসন্দেহে, তবে বিশ্বব্যাপী যে প্রচার তিনি পেয়েছেন তা শুধু মেধার জন্য নয়, বরং তার অসুস্থতা, অমুসলিম এবং ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার জন্য ঘটেছে। কিন্তু জামাল নজরুল ইসলাম নিজ দেশ থেকেও এমন মূল্যায়ন পাননি। প্রচার ছাড়া প্রসার কীভাবে হয়? বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত জামাল নজরুল ইসলামের লেখা ‘কৃষ্ণবিবর’ গ্রন্থটি হকিংয়ের ব্ল্যাকহোল থিউরির অনেক আগেই প্রাচ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত। কিন্তু আমরা কেউ তা জানি না। জানলেও তা কেউ প্রচার করিনি।
সারা বিশ্বে বিজ্ঞানী মহলে জেএন ইসলাম জিনিয়াস ইসলাম নামেও পরিচিত ছিলেন। জাপানি প্রফেসর মাসাহিতো বলেছেন, ‘ভারতের বিখ্যাত জ্যোতিপদার্থ বিজ্ঞানী জয়ন্ত নারলিকা জেএন ইসলামের সহপাঠী ছিলেন। ফ্রেডরিক হয়েল, নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী ব্রায়ান জোসেফসন, স্টিফেন হকিং, প্রফেসর আব্দুস সালাম, রিচার্ড ফাইনমেন, অমর্ত্য সেন প্রমুখ ছিলেন জামাল নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাদের মুখে আমি অনেক বার জেএন ইসলামের কথা শুনেছি। জেএন ইসলামের ‘দি আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স’ লেখা হয়েছে ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে কিন্তু হকিংয়ের ‘অ্যা ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম’ লেখা হয়েছে ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে। দুটি গ্রন্থ তুলনা করলে নিঃসন্দেহে জেএন ইসলামের বইটি যে কোনো বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ। কিন্তু ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম নিয়ে আমরা যে তোলপাড় করেছি, জেএন ইসলামের আল্টিমেট ফেইট নিয়ে তার এক সহশ্রাংসও করিনি।
হকিং তাঁর মূল্যবান গবেষণা সময়ের অধিকাংশই ব্যয় করতেন বাঙালি প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তাদের সম্পর্ক ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব থেকে পারিবারিক বন্ধুত্বে উন্নীত হয়েছিল। হকিংয়ের জ্যেষ্ঠ ছেলে রবার্ট, কন্যা লুসি এবং কনিষ্ঠ ছেলে থিমোতি জামাল নজরুল ইসলামের সঙ্গ খুব পছন্দ করতেন। জামাল নজরুল ইসলামের দুই মেয়ে সাদাফ যাস সিদ্দিকি ও নার্গিস ইসলাম ছিলেন তাদের খুব আদরের। সাদাফ যাসের আমন্ত্রণে লুসি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে লিট ফিস্টে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ এসেছিলেন। অর্থশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেন ছিলেন জামাল নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে এলে বন্ধু জামাল নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করার জন্য চট্টগ্রাম চলে গিয়েছিলেন। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী আবদুস সালাম বাংলাদেশে এলে বিমান বন্দরে নেমে বলেছিলেন, জেএন ইসলামকে খবর দিন। ওই সফরে জেএন ইসলামকে একটা পদকও দিয়েছিলেন প্রফেসর আবদুস সালাম। উল্লেখ্য, বয়সে জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন হকিংয়ের সিনিয়র কিন্তু আবদুস সালাম এবং অমর্ত্য সেনের জুনিয়র।
কেম্ব্রিজের শিক্ষক প্রফেসর সুসানার ভাষায়, ‘বিজ্ঞানময়তা বিবেচনায় হকিংয়ের অ্যা ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম-এর চেয়ে অনেক গুণ কার্যকর এবং বিজ্ঞানানুগ হচ্ছে জেএন ইসলামের দি আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স।’ বলা হয়, ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম এক কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। বিজ্ঞানগুরুত্বে যদি এটি হয়ে থাকে, তাহলে জেএন ইসলামের ‘দি আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স’ একশ কোটি কপি বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু হয়নি।
কেন? কারণ প্রচার হয়নি। আমরা করিনি। জেএন ইসলাম মুসলিম, জেএন ইসলাম তৃতীয় বিশ্বের লোক। তাই পাশ্চাত্যে যথাগুরুত্ব পাননি। জেএন ইসলামের দেশের লোকই তাকে তুলে ধরতে পারেনি, অন্যরা কেন করবে? জেএন ইসলামের লেখা এবং ক্যাম্ব্রিজ থেকে প্রকাশিত ‘রোটেটিং ফিল্ডস ইন জেনারেল রিলেটিভিটি’ বইটাকে বলা হয় আধুনিক বিজ্ঞানের একটি অদ্বিতীয় বই। সেটা নিয়ে অধিকাংশ বাঙালি কিছুই জানে না। নিজের ঘরের মানুষের কৃতিত্বের খবর যদি ঘরের মানুষ না রাখে তাহলে বাইরের লোকে রাখবে কেন? জেএন ইসলামের ‘দি আল্টিমেট ফেইট অফ দি ইউনিভার্স’ ছাড়া আর কোনো বাঙালির বই হিব্রæ ভাষায় অনূদিত হয়নি। তার তিনটি বই এবং দুটি আর্টিক্যাল ক্যাম্ব্রিজ, অক্সফোর্ড, হার্ভার্ড, প্রিস্টনসহ পৃথিবীর শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। অথচ বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় কি না আমার জানা নেই। এ হিসেবেও জামাল নজরুল ইসলাম হকিংয়ের চেয়ে অনেক বড়ো বিজ্ঞানী।
জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক। নিজের আয় থেকে অর্থ জমিয়ে দরিদ্র ছাত্রদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ বন্ধের উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন। সর্বোপরি, বিদেশে সহস্র পাউন্ডের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে দিয়ে জামাল নজরুল ইসলাম বাংলাদেশে চলে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশে ফেরার আগে জামাল নজরুল ইসলামের পরামর্শ চাইলে তিনি, জাফর ইকবালকে দ্রুত দেশে ফেরার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ পাবেন। দেশে ফিরে নিজের অধ্যয়নভূমি (জন্মস্থান ঝিনাইদহ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৩০০০ টাকার বৃত্তিতে কাজ শুরু করেন। ভেবেছিলেন দেশ তাঁকে মূল্যায়ন করতে পারবে, পারলেও করেনি। আমরা বাঙালিরা তাকে ওই তিন হাজার টাকা ছাড়া আর কিছুই দিতে পরিনি। তিনি যদি দেশে না আসতেন তাহলে পৃথিবী অনেক কিছু পেত। স্বার্থপর জেএন ইসলাম নিজের দেশের জন্য পৃথিবীকে বঞ্চিত করেছেন। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মার্চ তিনি ইন্তেকাল করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (25)
আরিফ ১৮ মার্চ, ২০১৮, ৩:৩১ এএম says : 1
আসলে আমরা আমাদের মূল্যায়ন করতে জানি না।
Total Reply(0)
Aafif Nabhan Sayed ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১১:২৯ এএম says : 3
পাকিস্থানের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী প্রফেসর আব্দুস সালাম বলেছিলেন এশিয়াতে আমার পরে আর কেউ নোবেল পেলে সেটা অবশ্যই জামাল নজরুল ইসলাম। আল্লাহর কাছে দোয়া করি পরপারে আপনি ভালো থাকুন স্যার জেএন ইসলাম।
Total Reply(0)
Abid Hasan Joy ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১১:৩০ এএম says : 0
when will our native talents be valued?
Total Reply(0)
Arman Parvez Shohag ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১১:৩১ এএম says : 0
ধন্যবাদ ইনকিলাব পত্রিকা কে এই ধরনের শিক্ষামূলক আর মুল্যবান লেখাগুলা তুলে ধরার জন্য।
Total Reply(1)
রাজিব ২ এপ্রিল, ২০১৮, ৯:৩৩ এএম says : 4
আমরা এটাকে শিক্ষামূলক বলব না, তথ্যমূলক বলতে পারি।
Humyun Kabir ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১১:৩২ এএম says : 3
ইনকিলাবকে ধন্যবাদ মুসলিম জাগরণের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য।
Total Reply(0)
Shohel Rana Jasim ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১১:৫৮ এএম says : 0
যে মাটিতে জ্ঞানীর কদর করা হয়না সে মাটিতে জ্ঞানীরা জন্ম ও নেন না
Total Reply(0)
Enamul G Chowdhury ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০৫ পিএম says : 0
লিখকের পরিচয়টা এখানে নেই, তাই বুঝতে পারছিনা ইনি কোন ডঃ আমিন, কারণ একজন চবি ফ্যাকাল্টি আছেন আমার বন্ধু ব্যাচমেট প্রফেসর ডঃ আমিন। যাহোক, লিখকের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আমি তাঁর সাথে ডঃ যে এন ইসলাম সম্পর্কে আরো দু'টো তথ্য যোগ করতে চাই - ১) পাকিস্তানী নোবেল জয়ী প্রফেসর আবদুস সালাম তাঁর নোবেল ভাষণে যে এন ইসলাম কে স্মরণ করে কিছু কথা বলেছিলেন, তন্মধ্যে একটা কথা ছিল এই নোবেল আমি না পেয়ে জামাল পেলে আমি বেশী খুশী হতাম, ২) স্যারের সাথে কিছু কাজে আমার ব্যক্তিগত যাতায়াত ছিল। আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতাম যখন দেখতাম এত বড় একজন বিজ্ঞানী কথায় কথায় প্রসঙ্গে প্রসঙ্গে রবিন্দ্র সাহিত্য থেকে উদ্ধৃতি দিতেন শ্লোকের মত করে। রবিন্দ্র সাহিত্য তাঁর মুখস্থ নয় ঠোঁটস্থ ছিল। এমন একটি সত্য ভাষণের জন্য লিখককে অকৃত্তিম ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
Mohsin ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:১১ পিএম says : 0
অনেক দিন আগে আমার এক বন্ধুকে চাকরির ইন্টার্ভিউতে প্রশ্ন করা হয়েছিলো একজন বিজ্ঞানীর নাম বলতে, তিনি জামাল নজরুলের স্যারের নাম বলেছিলেন। প্রশ্নকর্তা এতে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন, তার মাধ্যমিক স্কুলের চাকরিটা আর হয়নি।
Total Reply(0)
মারিয়া ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:৫৫ পিএম says : 0
এই ধরনের লেখা প্রকাশ করায় দৈনিক ইনকিলাবকে আমি এত পছন্দ করি।
Total Reply(0)
পাবেল ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:৫৬ পিএম says : 0
এটাই আমাদের বড় সমস্যা যে, আমরা আমাদেরকে মূল্যায়ন করতে পারি না।
Total Reply(0)
আরিয়ান ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১০:২৬ পিএম says : 0
Lots of thanks to the writer.
Total Reply(0)
asif ১৯ মার্চ, ২০১৮, ১০:২০ এএম says : 0
To the author of this article: I am guessing you area a former colleague of the renowned scientist. When he was alive , it should have been Chittagong university's duty to promote him in Bangladeshi limelight. In case you were a colleague, what steps were taken when he was alive to make him more visible to our countrymen? It is very easy to write something after someone has passed away; but it is difficult out of jealousy (?) to praise somebody.
Total Reply(0)
shohan ১৯ মার্চ, ২০১৮, ১০:৫৪ এএম says : 0
amrai amader mullo dei na. borong arekjon aktu valo obsthane gelai take chepa dhori. tai prithiber kothao amader dam nai. r aivabe konodin amra boro hoteo parbo na. amader modhe shushikkhar onk ovab.
Total Reply(0)
M I Bhuiyan ১৯ মার্চ, ২০১৮, ৩:১৮ পিএম says : 0
Thanks to the writer Dr. Mohammad Amin. In particular it was the duty of the Institution Dr. J N Islam worked for and in general it was the responsibility of his friends & colleagues.
Total Reply(0)
Rafiqul Islam ১৯ মার্চ, ২০১৮, ৩:২৪ পিএম says : 0
ধন্যবাদ ইনকিলাব পত্রিকা কে এই ধরনের শিক্ষামূলক আর মুল্যবান লেখাগুলা তুলে ধরার জন্য।
Total Reply(0)
Md.Shahidul islam ২০ মার্চ, ২০১৮, ৮:০৩ এএম says : 0
We know that,the charity begins st home.But we did not do that.So,the name and fame of our great scientist is not known to the world. Many many thanks to thewriter and as wel as to The Inqilab.
Total Reply(0)
Shahnewaz Nur Rashid ২০ মার্চ, ২০১৮, ৯:৪৪ এএম says : 0
i didn't hear about him before. As this story says, it sounds that Dr. J.N. Islam was an extraordinary scientist and he could have given a loooot of things. At the same time, it explains about our inability to crate field for him due to underdeveloped economy, corruption in every steps etc. that is why, i don't see light at the end of the tunnel and sometimes i say that even Allah won't look upon us because of our CORRUPTED MIND. that's why all the intellectual people, brains from BUET and other uni are going abroad and not coming back. DESHPREM ekmatro bokar bakko ei deshi......trust me
Total Reply(0)
মুজিবুর রহমান ২০ মার্চ, ২০১৮, ১০:১২ এএম says : 0
এত বড় খবর আমাদের অনেক আগে জানা উচিত ছিল- আলহামদুলিল্লাহ জানতে পারলাম।ধন্যবাদ লেখককে
Total Reply(0)
Mujibur Rahman ২০ মার্চ, ২০১৮, ১০:১৩ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ-অনেক পরে হলেও জানতে পারলাম। লেখককে ধন্যবাদ
Total Reply(0)
Mohammad Abdullah ২১ মার্চ, ২০১৮, ১:১২ এএম says : 0
ইনকিলাব কে অনেক ধন্যবাদ । ধন্যবাদ লেখক কে। এত বড় খবর আমার জানা ছিলনা । আসলেই আমরা আত্নভোলা জাতি। নিজেদের নিয়ে গর্ব করার অনেক কিছু থাকলেও আমরা প্রকাশ করিনা । অতছ সামান্য স্বার্থের লোভে অনেক ব্যক্তি বিশেষ কে শত শত উপাধি দিয়ে থাকি ।
Total Reply(0)
মিতুল হোসেন মিঠু ২১ মার্চ, ২০১৮, ১:২০ এএম says : 0
আসলে এটা কোনোশিক্ষা মূলক পোষ্টএটাতথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট এমন টা বলব না তবে এটুকু বলবো আমরা জাতী হিসাবে আত্মমর্যাদা হীন জাতী, লেখকের সাথে আমি একমত এবং ধন্যবাদ আমাদের চিনতে সাহায্য করার জন্য ।
Total Reply(0)
mahfuz ২১ মার্চ, ২০১৮, ১:২৪ এএম says : 0
SIR JAMAL NOJRUL , ENAR MOTO ARO AKJON KINGBODONTI ASE JAKE AMRA ONEKE E CHININA R TINA K TIK E CHINLO USA TAY TO TAR NAME USA TE RODE ASE TINI F R RAHMAN . JAR NAM PRESIDENT BARAK OBAMA SORON KORESEN TAR BOKTITAY. AMRA ATTOVOLA AMON AK JATI ALLAH NA KORON AKTA SOMOY E PRITHIBI AMADER ALADA KONO JATI SOTTA HISEBE CHINBE NA .
Total Reply(0)
Mohammad saiful islam patwary ২৩ মার্চ, ২০১৮, ১:৩৭ পিএম says : 0
Thanks to the writer Dr. Mohammad Amin. DR.JAMAL NAZRUL ISLAM is a great extraordinary scientist of the world.but the name and fame of our great scientist is not known to our students teacher and .......Many many thanks to the writer and as wel as to The Inqilab. i have heard about him . a British family keeps their son name JAMAL (beauty) to respect DR.JAMAL NAZRUL ISLAM.may allah give him heaven .
Total Reply(0)
Mohammad Rafique ১৫ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:৪৩ পিএম says : 0
Really it's an informative. But Country shouldn’t remained silent on this kind of great man.
Total Reply(0)
manik roton ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ৩:১২ পিএম says : 0
আরবের অনেক বিজ্ঞানীর আবিষ্কার চলে গেছে পাশ্চাত্যের হাতে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন