টেকনাফ (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : প্রথমবারের মতো বাংলাদেশীয় দু’জন নারী সাঁতারু বাংলা চ্যানেলটি পাড়ি দিতে যাচ্ছেন। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বঙ্গোপসাগরের এ স্রোতধারাটির নাম ‘বাংলা চ্যানেল’। গতকাল সোমবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে প্রতিবারের মতো এবারো ১৩তম সাঁতার অনুষ্ঠানে একসঙ্গে ২৮জন দেশীয় সাঁতারু সাঁতার শুরু করেন। ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলার উদ্যোগে এ সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রয়াত কাজী হামিদুল হকের স্মরণে এ সাঁতার প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির ও বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের সিনিয়র ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ আব্দুল্লাহ আল মুহিন। গত ১২ বছরের ১২ বার সফল সাঁতারু লিপটন সরকার, মনিরুজ্জামান ছয়বার, ফজলুল কবির সিনা পাঁচবার, সামসুজ্জামান আরাফাত তিনবার এবং শাহাদত বাশার একবার এই চ্যানেলটি পাড়ি দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছেন ঢাকা, বগুড়া ও রংপুরের আরো ২৩ জন। এরমধ্যে দুজন নারী পূর্ণিমা খাতুন ও মোছাম্মৎ মিতু আখতার রয়েছেন। পূর্ণিমা খাতুন ও মিতু আখতার বলেন, জীবনের প্রথমবার দেশীয় নারী হিসেবে এ বাংলা চ্যানেলটি সাঁতার দেওয়া হবে। এতে করে দেশের অপর সাঁতারুদের আগামীতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। ফরচুন এডিবল অয়েলের টাইটেল স্পন্সরের সঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, প্রিয় প্রাঙ্গণ ও অফরোড বাংলাদেশ। সিকিরিটি পার্টনার এলিট ফোর্স। যাবতীয় উদ্ধার অভিযান করবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এই আয়োজনের সহযোগী আয়োজক। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, ষড়জ, উডপেকার এই আয়োজনের পার্টনার। ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি শাহপরীর দ্বীপ-সেন্ট মার্টিন রুটে ‘বাংলা চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়। মূলত এটির স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। যিনি নিজেও একজন বিখ্যাত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার এবং নানাবিধ অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন