মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : একশ এগারো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মির্জাপুর বালিয়া ভায়া উয়ার্শী আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠিত একটি তদন্ত দল মঙ্গলবার সরেজমিন এসে সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়ম হয়েছে বলে সংশিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন। সূত্র জানান, ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮ ফুট প্রস্ত এই সড়কটি ১১১ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্মাণ করেন। ২০১১-১২ অর্থবছরে। সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গত বছর জুন মাসে এসে তা শেষ হয়। সড়কটি নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছিল এন মল্লিক এন্ড কোং ও সুচনা এন্টারপ্রাইজ নামক দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এই সড়কটি নির্মাণ কাজে প্রথম থেকেই অনিয়ম করে আসছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুটো। বালির পরিবর্তে মাটি, ইটের খোয়ার পরিবর্তে ব্রিজ ও ভবন ভাঙ্গা প্লাস্টার ব্যবহার করে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। তাছাড়া মির্জাপুরের ঘুঘি নামকস্থানে অধিগ্রহণকৃত জমির ওপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ না করে অন্যের ভরাটকৃত জমি জবর দখল করে সড়ক নির্মাণ করা হয় বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সোনা মিয়া কমিটির কাছে অভিযোগ করেন। এই আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ এনে এলাকাবাসী সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন এমপি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই কমিটির সদস্য নাজমূল হক প্রধান এমপিকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের জামালপুর সার্কেলের তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শওকত আলী, একই বিভাগের ময়মনসিংহ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম, সংসদ সচিবালয়য়ের অতিরিক্ত সহকারি সচিব, আইয়ুব আলী খান, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির একান্ত সচিব ইকবাল বিন মতিন।
ওই কমিট গতকাল মঙ্গলবার সকালে এই আঞ্চলিক সড়কটি তদন্তে এসে সড়ক নির্মানে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছেন বলে কমিটির প্রধান নাজমূল হক প্রধান এমপি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন