শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সু চির জন্য ক্ষমতাধর নতুন পদ অনুমোদন

প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সামরিক বাহিনীর আপত্তি সত্ত্বেও অং সান সু চির জন্য ক্ষমতাশালী নতুন পদ সৃষ্টির প্রস্তাব মিয়ানমারের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে অনুমোদন পেয়েছে। গতকাল ওই বিলটি অনুমোদন পায়, যেখানে ‘স্টেট কাউন্সিলর’ নামে নতুন একটি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিল অনুযায়ী এ পদটি প্রেসিডেন্টের সমপর্যায়ের। এ পদের মাধ্যমে সু চি মন্ত্রীদের সমন্বয় করতে এবং নির্বাহীদের ওপর প্রভাব খাটাতে পারবেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উচ্চকক্ষের সদস্য কর্নেল মিন্ট সেউই এর বিরোধিতা করে বলেন, স্টেট কাউন্সিলর ও প্রেসিডেন্ট পদ সমমর্যাদার হওয়ায় এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সেনাবাহিনীর এ আপত্তি উপেক্ষা করেই গতকাল পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে বিলটি পাশ হয়। বিতর্কের জন্য আগামী সোমবার বিলটি নিম্মকক্ষে উপস্থাপন করা হবে। যেহেতু পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) একক সংখ্যাগরিষ্ঠ অবস্থানে আছে তাই বিলটি পাশের জন্য সেনাবাহিনীর পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোট প্রয়োজন নেই।
গত বছর নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে এনএলডি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু সামরিক জান্তা আমলে তৈরি মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, স্বামী বা সন্তান বিদেশি এমন কেউ দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চির মৃত স্বামী যুক্তরাজ্যের নাগরিক ছিলেন এবং তার দুই সন্তানও যুক্তরাজ্যের নাগরিক। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সু চি মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছেন। এজন্য তাকে প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দি জীবন কাটাতে হয়।
এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করার পর সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে সাংবিধানিক বাধা নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার ও এনএলডি’র কয়েক দফা বৈঠক হয়। সংবিধানের ওই বাধাকে তুচ্ছ বলে মন্তব্য করে সু চি বলেছিলেন, পদের উর্ধ্বে থেকে তিনি সরকার পরিচালনা করবেন।
পরে সু চি মনোনীত থিন কিয়াওকে এনএলডি-র পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করা হয় এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে কিয়াও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ৩০ মার্চ মিয়ানমারের নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ৬৯ বছর বয়সী কিয়াও দেশের জনগণের প্রতি ‘বিশ্বস্ত’ থাকার অঙ্গীকার করেন।
ওইদিনই প্রধান তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সরাসরি সু চি-র অধীনে চলে গেছে এবং তিনি নতুন প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াওকে নির্দেশনা দেবেন বলে জানানো হয়েছে। প্রভূত ক্ষমতা হস্তগত করে সু চি অসাংবিধানিকভাবে পরিচালিত হচ্ছেন, এমন অভিযোগ এড়াতেই তার জন্য অতিরিক্ত নতুন পদ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
যদিও সেনাবাহিনী থেকে পার্লামেন্টের সদস্যরা (মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনী দেশটির পার্লামেন্টে একতৃতীয়াংশ আসনের স্থায়ী সদস্য) এনএলডি-র প্রস্তাবিত বিল অসাংবিধানিক বলে বর্ণনা করে তার বিরোধিতা করছে। সূত্র : রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন