পেট খারাপ মানেই কাঁচকলা দিয়ে শিং মাছ মাস্ট! তাতে নাকি পেট ঠান্ডা হয়। পথ্যটি একেবারে আদিকালের। তবে একবার পেট খারাপ সেরে গেলে তো সবাই ভুলতে বসল কাঁচকলাকে। শুধু পেট খারাপ সারাতেই নয়, আরও বেশ কিছু জটিল রোগ সারাতেও কাঁচকলা দারুণ কাজে আসে। চলুন ঝটপট জেনে ফেলা যাক কাঁচকলার নানাবিধ উপকারিতা সম্পর্কে।
পেট ঠান্ডা রাখে- কাঁচকলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র হজম করার ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডায়জেস্টিভ ট্র্যাকের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। তাই শুধু পেট খারাপ নয় যাঁরা প্রায়শই গ্যাস- অম্বলে ভুগে থাকেন, তাঁরা কাচকলাকে কাজে লাগিয়ে আরোগ্য লাভ করতে পারেন।
পটাশিয়ামের ঘাটতি দুর করে- এক কাপ কাঁচকলায় প্রায় ৫৩১ এম জি পটাশিয়াম থাকে, যা পেশির গঠনে উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি নার্ভ এবং কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, রক্তে যাতে কোনও ক্ষতিকারক উপাদান থাকতে না-পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে কাঁচকলায় বিদ্যমান পটাশিয়াম।
পুষ্টির ঘাটতি দূর করে- খাবারে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদানগুলো যাতে ঠিকমতো শরীরের কাজে লাগাতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে কাঁচকলা। ফলে নিয়মিত কাঁচকলা খেলে অনায়াসেই শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দুর হয়। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগও দুরে পালায়।
উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়- নিয়মিত কাচকলা খেলে ইন্টেস্টাইনে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে শরীরের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ভিটামিনের চাহিদা মেটে- কাঁচকলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিস ‘সি’। এই দুটি ভিটামিন শরীরের গঠনে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে।
ভিটামিন ‘সি’ যেমন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে সংক্রামক রোগকে দূরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নেয়, তেমনি ভিটামিন বি-৬ শরীরে এনার্জি ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে- কাঁচকলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। বরং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে এই ফলটি। তাই তো ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে কাঁচকলা খেতে পারেন।
-আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন