বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চোর সন্দেহে এতিমখানার ছাত্রের দু‘হাত বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নেছারাবাদে চুরির অপবাদ দিয়ে মো.মহিবুল্লাহকে (১৭) নামে লিল্লাহ বোডিংয়ের এতিম ছাত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী এবং ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি শহীদুল ইসলাম। গত মঙ্গলবার রাতে গনমান সোহাগদল গনমান ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার একটি কক্ষে মহিবুল্লাহর হাত পা চেয়ারের সাথে বেধে বেদম মারধর করা হয়। গত ২০ মার্চ রাতে উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের ‘গনমান সোহাগদল ছালেহিয়া ফাজিল মাদাসায় ওই ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি প্রকাশ করতে দেয়নি মাদরাসা কতর্ৃৃপক্ষ। শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মোহেববুল্লাহর বিধবা মা মেরিনা বেগম সাংবাদিকদের একথা জানান। বেত্রঘাতে গুরতর আহত মহিবুল্লাহকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা করাচ্ছেন। ওই মাদরাসার আবাসিক ছাত্র মহিবুল্লাহ এ বছর আলিম পরীক্ষার্থী ও গনমান গ্রামের মৃত তাবারক আলীর পুত্র। এখন পর্যন্ত অসুস্থ মহিবুল্লাহ গত চারদিন ধরে হাসপাতেলের বেডে কাতরাচ্ছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয়ভাবে সালিশ মিমাংশার জন্য গন্যমান্যদের নিয়ে রোববার বৈঠক ডেকেছেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মসিউর রহমান।
জানা গেছে গনমান ছালেহিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের আবাসিক শিক্ষক মাওলানা ইসরাফিল হোসেনের রুম থেকে ৭ হাজার টাকা ও ৩টি মোবইল সেট চুরি হয়। এঘটনার জন্য সাবেক ইউপি সদস্য আইউব আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি শহীদুল ইসলামসহ তিনজনকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয় ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি। তদন্তের দায়িত্ব পেয়েই ওই দিন রাতে আইয়ুব আলী এবং শহীদুল ইসলাম এতিম মহিবুল্লাহকে মাদরাসার একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ কওে হাত,পা বেধেঁ চোর সন্দেহে অমানুষিক নির্যাতন করেন। দরিদ্র মহিবুল্লার মা ছেলেকে নির্যাতনের জন্য এলাকার মানুষের কাছে বিচার দাবি করেছেন। প্রভাবশালী আইউব আলী কারো কথা আমলে না নিলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।এতিম মহিবুল্লাহকে মারধর করার বিষয় কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে ওই মাদ্রসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মসিউর রহমান বলেন মোহেব্বুল্লাহ শিশুকাল থেকেই এ মাদরাসার ছাত্র এবং অত্যন্ত ভাল চরিত্রের ছাত্র।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আইউব আলীর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। অন্য অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, মোহেব্বুল্লাহকে আমি মারিনি। যদি সে বলে থাকে আমি মেরেছি তাহলে আমার কিছু করার নাই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন