স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, নির্বাচনে যে ধরনের দখল, ভোট ডাকাতি, বাড়ি বাড়ি হামলা হচ্ছে তাতে অংশ নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের অপমান করা হচ্ছে। এ নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। গতকাল এক নাগরিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক চিফ হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ সভার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সংসদ’ নামের একটি সংগঠন।
শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, ইউপি নির্বাচনে পুলিশ, প্রিজাইডিং অফিসার, আওয়ামী লীগের প্রার্থির এজেন্ট, নির্বাচনী কর্মকর্তা-সবাই মিলে ভোট দিয়েছে, ভোট কেটে-ছিঁড়ে তারা সবাই নৌকায় ভোট দিয়েছে। আর নৌকার লোক তো আছেই। এটি কি ভোট হয়েছে? এটি ভোট না বোট (নৌকা)।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি অনুরোধ করব, যেটা (দুই ধাপের ইউপি নির্বাচন) গেছে গেছে, এ সরকার ও ইসির অধীনে আর কোনো ভোট নয়। পরবর্তী ধাপগুলোর নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করতে হবে, বর্জন করতে হবে।
নির্বাচনে সহিংসতার জন্য ইসিকে দায়ী করে অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের বিচার হতে হবে। অন্য কমিশনারদেরও বিচার হতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, জাতি কোনোদিন যদি জেগে ওঠে, আন্দোলন করে নিজেদের অধিকার আদায় এবং গণতন্ত্র, কথা বলা, সভা-সমাবেশ ও রাজনীতি করার অধিকার অর্জন করতে পারে, তাহলে সেদিন এ দেশে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, সরকার বিএনপির কাউন্সিল ব্যর্থ করতে অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বেগম খালেদা জিয়ার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে। তাকে যদি গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হয় তাহলে সারাদেশের নেতাকর্মীরা গ্রেফতারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবু মাল আব্দুল মুহিতকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার সমালোচনা করে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোয়াজ্জেম বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি আমেরিকায় ছিলেন। তাকে কিভাবে এ পদক দেয়া হলো। আসলে ব্যাংক লুটপাটের পুরস্কার স্বরূপ তাকে এ পদক দেয়া হয়েছে।
আব্দুস সালাম বলেন, সরকার জানে বিএনপি নির্বাচনে আসলে তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এজন্য বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে খালেদা জিয়ার নামে মামলা-গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে।
আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, অতীতে কখনো আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নামে মামলা হয়নি। কিন্তু সরকার সব নিয়ম ভঙ্গ করে খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুলের নামে শতাধিক মামলা দিয়েছে। এভাবে তারা রাজনীতিকে কলুসিত করে ফেলেছে। এজন্য একদিন তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি চৌধুরী রাজিব হাসান রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভঅয় বকতব্য রাখেন, বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ, জিনাফ সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, স্বাধীনতা ফোরামের আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, যুবনেতা সাঈদ হাসান মিন্টু প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন