বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

ব্যাপক আয়োজনে আটলান্টায় অনুষ্ঠিত হবে এবারের ফোবানা সম্মেলন

| প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিনোদন রিপোর্ট: উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী সংগঠন ফোবানার (ফেডারেশন অব বাংলাদেশী অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা) ২০১৮ সালের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আটলান্টা ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টারে। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হবে ২৭ জুলাই। গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ফোবানার নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান। এর আগে ১৯৯৯, ২০০৬ ও ২০১৩ সালে আটলান্টায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর চতুর্থবারের মতো সম্মেলনটি আটলান্টায় অনুষ্ঠিত হবে। ফোবানা সম্মেলন আয়োজকদের বাংলাদেশে প্রথম প্রচারণা অনুষ্ঠান উপলক্ষে শনিবার বিকালে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাগতিক কমিটির কনভেনর জসিম উদ্দিন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, সাবেক কেন্দ্রীয় এক্সিকিউটিভ কমিটির সেক্রেটারি এম মাওলা দিলু, মেম্বার সেক্রেটারি নাহিদুল খান সাহেল, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি শাহ হালিম, নির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাটর্নি মোহাম্মদ আলমগীর, বিজনেস স্ট্যাডি কমিটির চেয়ারম্যান রবিউল করিম বেলাল ও হোস্ট কমিটির প্রেসিডেন্ট ডিউক খান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডাউন টাউন আটলান্টার প্রাণকেন্দ্র ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টারের ওমনি আটলান্টা হোটেল সিএনএন সেন্টারে এবারের ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই তিন দিনব্যাপী ফোবানা সম্মেলনের আয়োজনে রয়েছে জর্জিয়ার বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব জর্জিয়া। প্রতিবছর ফোবানা সম্মেলন হয়ে থাকে সেপ্টেম্বরের লেবার ডে উইকেন্ডে। আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা সে সময়ে আমেরিকান কমিউনিটি আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি উপভোগে বঞ্চিত হন। তাই এবার জুলাইয়ে এই সম্মেলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফোবানার নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারে সফল ও সুন্দর সম্মেলন করার প্রত্যাশা রয়েছে। তিনি বলেন, উত্তর আমেরিকায় বেড়ে ওঠা বাংলাদেশী শিশু ও তরুণ-তরুণীদের বাংলাদেশের সংস্কৃতি স¤পর্কে জানাতে ফোবানা এবারের সস্মেলন আয়োজন করেছে। ফোবানার নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারে সফল ও সুন্দর সম্মেলন করার প্রত্যাশা রয়েছে। সম্মেলনে এবারের ¯ে¬াগান- আওয়ার চিলড্রেন লিডার্স অব দ্য ফিউচার- আমাদের সন্তান, আগামীর নেতৃত্ব। জর্জিয়া ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টারে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জসিম উদ্দিন সম্মেলনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, প্রতি বছরই এই সম্মেলনটি হয়। এবার তিন দিনের সম্মেলন হবে। এ সম্মেলন আয়োজনে আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে প্রবাসের মাটিতে আমাদের সংস্কৃতিকে বিকশিত করা। আমাদের কালচারাল প্রোগ্রামগুলো তিন দিন ধরেই থাকে। কালচারাল প্রোগ্রামে বিভিন্ন শহর থেকে তরুণ-তরুণীরা আসেন। ফোবানা সম্মেলনে সেমিনার ও সি¯েপাজিয়াম থাকবে জানিয়ে আহŸায়ক বলেন, বর্তমান বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ একটি বড় ইস্যু। এর ওপর আমাদের সেমিনার হবে। সেখানকার স্থানীয়রাও যুক্ত হবেন। আটলান্টার এফবিআই প্রধানও আসবেন। এছাড়া ¯িপকিং সেশন আছে, আমাদের ¯িপকাররা আসবেন। এর উদ্দেশ, আমরা সেখানে কীভাবে মূল ধারার রাজনীতিতে স¤পৃক্ত হতে পারি। তরুণদের মধ্যে বিশেষ করে যারা গ্রাজুয়েশন করেছে তাদের জন্য। তিনি বলেন, তরুণদের মধ্যে যারা হাইস্কুল পাস করবে, নির্ধারিত জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপ পাবে। নর্থ আমেরিকাতে অনেকে আছেন যারা ১৮ ঘণ্টা কাজ করে ছেলে-মেয়েদের পড়িয়ে ডাক্তার বানাচ্ছেন। আমরা তাদের স্বীকৃতি দেয়ার চেষ্টা করছি। সম্মেলনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিজনেস সেমিনার। এ সেমিনারের মাধ্যমে এখান থেকে অনেক ব্যবসায়ীরাও আসবেন। আমরা ওখানকার মূল ধারার ব্যবসায়ীদের আনবো। তারা ডায়ালগ করবেন, একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। সম্মেলনের আহŸায়ক আরও বলেন, আমাদের ¯পন্সরশিপ প্রোগ্রাম আছে সেখানে। যেটা অ্যালামনাই, এটা আমরা এ বছরই শুরু করেছি। আটলান্টার ভেন্যু এত বড় ও ইউনিক যে, সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যেমন বুয়েট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাডেট কলেজ তাদের ভেন্যু দিচ্ছি, মিটিং রুম দিচ্ছি। তারা এসে অ্যালামনাইয়ের যে কোনো প্রোগ্রাম ও গেট টুগেদার করতে পারবেন। সম্মেলনে ইভনিং ফর এভার নামে একটি প্রোগ্রাম হবে জানিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, আটলান্টায় ৩৫ হাজার পিতা-মাতা আছেন। এছাড়া ২০০ থেকে ৩০০ বিবাহযোগ্য ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তারা ওই কালচালে বড় হচ্ছে। আমরা হল রুমের মধ্যে ইভনিং ফর এভার প্রোগ্রাম করব। সেখানে বিভিন্ন স্টেট থেকে অংশ নিতে পিতা-মাতা ও ছেলে-মেয়েরা রেজিস্ট্রেশন করছে। আমরা কাউকে কোনো বিয়ে দিচ্ছি না। আমরা যোগাযোগ ঘটাচ্ছি। তারা ই-মেইল, ফোন নম্বর দেবেন, কথা বলবেন। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা কি করবেন। তিনি বলেন, আমার মেয়ে যদি বড় হয় আমি চাইব যাতে বাংলাদেশী একটা ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সুতরাং আমরা চেষ্টা করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন