শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

ইউটিউবে হিট হওয়া শিল্পী বেশিদিন টিকে থাকবে না -তিমির নন্দী

| প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আশিক বন্ধু: স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী ও শব্দসৈনিক তিমির নন্দী। গান গেয়ে চলেছেন দেশের জন্য। গুণী এই শিল্পীল সাথে তাঁর নতুন ভাবনা ও কাজের বিষয়ে কথা হয়।
তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের গানের ধারা ও চর্চা নিয়ে আপনার ধারণা কি?
প্রথমত তরুণরা অনেকেই এখন কমার্শিয়াল চিন্তা ভাবনা করে। অথচ পরিণত না হয়ে বা দীর্ঘ সময় গান না করার আগে বানিজ্যিক চিন্তা করা ঠিক নয়। অন্যদিকে খুব সহজে টাকা খরচ করে রোমান্টিক গানের মিউজিক ভিডিও করে ইউটিউবে মুক্তি দিয়ে শর্টকার্টে জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়। এই জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য তাদের অনেকেই দেশের গানের চর্চা থেকে বিরত থাকেন। তাদের মধ্যে শেখার আগ্রহটা যেমন কম, তেমনি ধৈর্যশক্তিও নেই।
সঙ্গীত আপনাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। তারপরও কোনো অপূর্ণতা অনুভব করেন কিনা?
গানই আমার জীবন। সঙ্গীতেই বসবাস। এ নিয়েই থাকতে চাই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গেয়ে যাবো। তবে কিছু পাওয়ার জন্য নয়। দেশের জন্য গান করেছি এবং সারাজীবন গান করে যাবো। আমার কাছে দেশ আগে। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন গানে গানে নিবেদিত ছিলাম, তেমনি গানে গানেই দেশের জয়গান গেয়ে যেতে চাই। এখানে পূর্ণতা-অপূর্ণতা বা শূন্যতা বলে কিছু নেই।
বিশেষ দিবসে দেশের গান বা শিল্পীদের ব্যস্ততা বাড়ে। অন্য সময় দেশের গানের শিল্পীদের তেমন একটা দেখা যায় না।
এটি ভাবনার বিষয়। আমাদের দাবী সারা বছরই দেশের গানের কোন না কোন অনুষ্ঠান যেন চালু থাকে প্রতিটি চ্যানেলে। তাহলে তরুণ প্রজন্ম দেশপ্রেম এবং দেশের গানে উৎসাহী হবে। আসলে দেশপ্রেম কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়, এটা সারাজীবনের। কষ্ট লাগে যখন দেখি শুধু বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস আসলে, স্মৃতিসৌধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতার স্মারকগুলো ধোয়া মোছা করা হয়। অথচ সারা বছরই এগুলোর যতœ নেয়া দরকার। আর বিশেষ দিন এলেই যেন দেশপ্রেম জেগে উঠে। ভালবাসা তো কোনো দিন-ক্ষণের বিষয় নয়, এটা আত্মার মতোই সবসময়ের। এ বিশ্বাস আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জাগাতে হবে। তাহলেই আমরা সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাব।
ইউটিউব ভিউয়ার্স দিয়ে এখন গানের মূল্যায়ণ করছেন অনেকে। ইউটিউবে গান প্রকাশের বিষয়টি কিভাবে দেখেন?
ইউটিউবে ভিউয়ার্স দিয়ে গান হিট বা শিল্পী গাইতে পারেন তা আমি মানতে রাজি নই। ইউটিউব একটি ব্যবসায়িক মাধ্যম। যার টাকা আছে, সে ইনভেস্ট করে বুস্ট করে কোটি কোটি ভিউ পায়। আর যার টাকা নাই বা কোম্পানি বিভিন্নভাবে প্রচারে এগিয়ে আসেনা সে শিল্পী পিছিয়ে থাকে। কাজেই ইউটিউবের ভিউ দিয়ে গানের প্রকৃত বিচার কখনো সম্ভব নয়। আমি মনে করি, ইউটিউবে হিট হওয়া শিল্পী বেশিদিন টিকে থাকবে না। টিকতে হলে গান জানতে হবে, লাইভ প্রোগ্রামে বা স্টেজে সরাসরি খালি গলায়ও গান গেয়ে শোনানোর সাহস থাকতে হবে। তাহলে দীর্ঘদিন টিকে থাকা যাবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন