চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, উন্নয়ন, পরিচ্ছন্নতা ও আলোকায়নের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের সেবা ইতোমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। ২০১৭ সালের মধ্যে বন্দরনগরীকে গ্রিন ও ক্লিন সিটিতে উন্নীত করা হবে। স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি করে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নগরীকে বিশ্বমানের নান্দনিক নগরীতে পরিণত করা হবে। তিনি বলেন, দায়-দেনা, প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলাসহ নাজুক এক পরিস্থিতিতে দায়িত্ব গ্রহণ করে ইতোমধ্যে নগরীর দৃশ্যমান পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে।
তিনি গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এন্ড ম্যাটস কোর্সের ১ম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আলী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্যানেল মেয়র-১ চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্যানেল মেয়র-২ মিসেস জোবাইরা নার্গিস খান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যরক্ষা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোঃ আবুল হোসেন, ডা. জাহিদুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মেয়র ম্যাটস কোর্সের ১ম ব্যাচের ৩৭জন শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন।
মেয়র আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নগরবাসীর দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। প্রতিদিন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩০ হাজার রোগী সেবা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রাতে পরিবর্তনসহ ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১০ লাখ বিন, ২ হাজার ভ্যান গাড়ি, ৪ হাজার অতিরিক্ত শ্রমিকসহ বছরে ১৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। নাগরিক স্বার্থে সিটি কর্পোরেশন এ কর্মসূচি সফল করতে বদ্ধপরিকর। আগামী ৩ বছরের মধ্যে নগরীতে কোন কাঁচা রাস্তা থাকবে না। অলি-গলিসহ সকল সড়ক ও রাস্তায় উন্নয়ন করা হবে। মেয়র সিটি কর্পোরেশনের যাবতীয় সেবায় নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন