স্টাফ রিপোর্টার : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিএমইটি’র চার কর্মকর্তার বিতর্কিত পদোন্নতিকে জায়েজ করতে একটি কুচক্রী মহল প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে ভ‚তাপেক্ষ অনুমোদন নেয়ার জন্য জোর লবিং চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু অত্যন্ত সৎ ও একনিষ্ঠ বিনয়ী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এ ব্যাপারে অনড় রয়েছেন। গত ১৩ মার্চ বিএমইটি’র চারজন সহকারী পরিচালককে উপ-পরিচালক পদে ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে পদোন্নতি দেয়ার অভিযোগ ওঠে। গত ২৯ মার্চ দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় চার সহকারী পরিচালকের উপ-পরিচালক পদে বিতর্কিত পদোন্নতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ গত ২৭ মার্চ তার দপ্তরে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, চারজন সহকারী পরিচালকে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো ঘুষ বাণিজ্য হয়নি। রুলস অব বিজনেস মেনেই এবং বিধি মতোই এসব কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনর স্বাক্ষর নিয়েই পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করা হতো। চার জন কর্মকর্তার পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারির আগে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র অনুমোদন নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ সকালে বিএমইটি’র সহকারী পরিচালক সিলভী ইয়াসমিন তার হাই কোটের আইনজীবি সুব্রত চৌধুরীর মাধ্যমে এক উকিল নোটিশে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী, প্রবাসী সচিব, ডিপিসি’র বিভিন্ন সদস্যের কাছে চার কর্মকর্তার পদোন্নতির তালিকায় জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে তার পদোন্নতি দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ১৩ মার্চ সকালেই উল্লেখিত উকিল নোটিশ পেয়ে তার উপর প্রবাসী ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম শামছুন নাহারকে নিদের্শনা করে লিখিতভাবে বলেন, পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় যাতে অনিয়ম না হয়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন