বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

আশরাফুলের সেঞ্চুরিভাগ্য, দলের দুর্ভাগ্য

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সেঞ্চুরিকে তো রীতিমতো ছেলেখেলাই বানিয়ে তুললেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলেন তিনি। ২০ মার্চ মোহামেডানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু। গত বৃহস্পতিবার অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পর গতকাল ব্রাদার্সের বিপক্ষে ‘হ্যাটট্রিক’ পেয়ে গেলেন তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসের এই নিয়ে ম্যাজিক্যাল ফিগারের দেখা পেয়েছেন ৫ম বারের মত। লিগে সেঞ্চুরিতে তিনিই শীর্ষে। পাঁচ সেঞ্চুরির দুটিই অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে। ব্রাদার্স ছাড়াও বাকি দুটি মোহামেডান ও প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে। তিন সেঞ্চুরি করে আশরাফুলের পেছনে জাতীয় ক্রিকেট দলের লিটন দাস।
ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি ভাগ্যের সঙ্গে দলের জন্যও ডেকে আনলেন দুর্ভাগ্য! যতগুলো ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন আশরাফুল, তার অধিকাংশ ম্যাচেই হেরেছে তার দল কলাবাগান ক্রিকেট ক্লাব! গতকাল রেলিগেশন লিগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আশরাফুলের তুলনামূলক মন্থর সেঞ্চুরি ছাপিয়ে ঝড়ো সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়েছেন মিজানুর রহমান। চারটিতেই স্ট্রাইক রেট পচাত্তরের ঘরে। এর তিনটিতেই হেরেছে দল। সব মিলিয়ে তার ৫ সেঞ্চুরির চারটিতেই হেরেছে দল। কলাবাগানের অবনমন নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। ব্রাদার্স ও অগ্রণী ব্যাংকের পয়েন্ট ১০। আগামী বুধবার এই দুই দলের লড়াই নির্ধারণ করবে, প্রিমিয়ারে টিকে থাকবে কোন দল।
বিকেএসপিতে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে উইকেটে গিয়েও আশরাফুল সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ইনিংসের শেষ বলে। ১০২ রান করতে লেগেছে ১৩৭ বল। ব্রাদার্সের বিপক্ষে আশরাফুল অপরাজিত ছিলেন ১০২ রানে। ১৯৫ মিনিট ব্যাটিং করে ১৩৭ বলে তার এই ইনিংসে ৫০ ওভার শেষে কলাবাগান ৩ উইকেটে তোলে ২৫২ রান। আশরাফুলের সেঞ্চুরির পাশাপাশি কলাবাগানের সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ওয়ালিউল করিমের ৯৫ বলে ৭৯। এ ছাড়া মুনিম শাহরিয়ার করেছেন ৩৫ আর ফারুক হোসেনের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান। ব্রাদার্সের সোহরাওয়ার্দী শুভ ৫৩ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। রান তাড়ায় ব্রাদার্সকে এগিয়ে নেয় মিজানুরের ১০৪ বলে ১১৫ রানের ইনিংস। পরে ইয়াসির আলি ও নাজমুস সাদাতের দারুণ ফিনিশিংয়ে ম্যাচ শেষ ৩৩ বল আগেই।
টানা সেঞ্চুরি দিয়ে কি নির্বাচকদের একটু ভাবনায় ফেলে দিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক? ম্যাচ পাতানোর অপরাধ করে নিষিদ্ধ না হলে আজ হয়তো বাংলাদেশ দলের অন্যতম নিউক্লিয়াস হয়েই থাকতেন। ২০১২-তে নিষিদ্ধ হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে অনেকগুলো বছর। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর এই প্রথম দারুণ ধারাবাহিক তিনি। ক্রিকেটের বাইরে থেকেও ব্যাটিংটা যে ভুলে যাননি, সেটাই জানান দিচ্ছেন। তবে নির্বাচকদের ভাবনায় ফেললেও জাতীয় দল যে তাঁর কাছে এখনো অনেক দূরের বিষয়, সেটা বলাই যায়। তবে এসব নিয়ে না ভেবে নিজের ‘ধারাবাহিকতা’কে এই মুহূর্তে উপভোগ করতেই পারেন ২০০১ সালে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরি করা এই ক্রিকেটার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন