চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ও পদুয়া ইউনিয়নে দু’টি রাবার ড্যাম প্রকল্প শত শত অনাবাদি জমি চাষের আওতায় এসেছে। চলতি বোরো মৌসুমে রাবার ড্যামে পানি সরবরাহ করায় হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে। জমিতে কৃষকরা প্রয়োজনীয় সেচ পানি সরবরাহ করতে পারাচলতি মৌসুমে লক্ষমাত্রা অর্জনের আশঙ্কা করছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
শিলক বিলের কৃষক জিল্লুর, কামাল বলেন, পানির অভাবে শিলক ও পদুয়া ইউনিয়নে তৈলাভাঙা বিল, নারিশ্চা বিলসহ শতশত হেক্টর জমি খরা মৌসুমে অনাবাদি পড়ে থাকত। শিলক খালের মরমের মুখ এলাকায় ২০০৭ সালে রাবার ড্যাম প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। বছরের দুই মৌসুমে কৃষকরা রাবার ড্যামের পানিতে চাষবাদ করতে পারছে। শতশত একর অনাবাদি জমি চাষযোগ্য হয়েছে। সঠিক সময়ে পানি সেচ সরবরাহ করায় কৃষি ফলন দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এককথায় রাবার ড্যাম স্থাপিত হওয়ার পর অত্র এলাকার কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটে। পদুয়া গ্রামের কৃষক মো. জমির বলেন, পদুয়া ব্রিজঘাটা রাবার ড্যামের আওতায় দুই মৌসুমে ধান চাষ হচ্ছে। পানির অভাবে পদুয়া ব্রিজঘাটা এলাকায় তিনটি বিল খিলা পড়ে থাকত। ২০১৩ সালের ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শিলক খালের পদুয়া ব্রিজঘাটা রাবার ড্যাম প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। রাবার ড্যাম প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় নাপিত পুকুরিয়া বিল, কইয়াতলা বিল ও দুধপুকুরিয়া বিলের অনাবাদি জমি চাষাবাদ হচ্ছে। ড্যামের আওতায় তিন-চার শ’ একর জমিতে প্রায় একহাজার কৃষক চাষাবাদ করে থাকেন। পানি সঙ্কট না থাকায় বছরের দুই মৌসুমে ধান উৎপাদন করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। পানি সেচ জমিতে সময়মতো সরবরাহ করতে পারায় ধান ক্ষেত সবুজে সবুজে ভরে গেছে।
পদুয়া ও শিলক ইউনিয়নে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা। পানি ও সারের কোনো সঙ্কট না থাকায় কৃষকেরা চলতি মৌসুমে বাম্পারের সম্ভাবনা করছেন। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী এক কর্মকর্তা জানান, শিলক রাবার ড্যামের আওতায় প্রায় এক হাজার হেক্টর ও পদুয়া ব্রিজঘাটা রাবার ড্যামের পানিতে ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে। প্রকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন