মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ফিলিপিন্সের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির চাঞ্চল্যকর ৬ তথ্য

পাচার হওয়া অর্থের একাংশ ফেরত নিতে ম্যানিলা যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা : সিনেট শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন ৫ এপ্রিল

প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : তদন্তের ৭ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রিজার্ভ চুরির এই বিশাল ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা যায়নি, জানা যায়নি চুরি যাওয়া অর্থের বর্তমান অবস্থান। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ও ফিলিপিন্সে ব্যাপক রদবদল এবং সমালোচনার জন্ম দেয়। আর তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে ৬টি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ফিলিপিন্সের গণমাধ্যম র‌্যাপলার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ফিলিপাইনের মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের একাংশ ফেরত নিতে ম্যানিলা যাচ্ছেন বাংলাদেশের তদন্তকারী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি এ ঘটনায় চলমান সিনেট তদন্তেও অংশ নেবেন। আর গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির কর্মকর্তারা ঘটনার তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করবেন বরে জানা গেছে। সূত্র মতে, নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোপাট অর্থের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার গায়েব হয়ে চলে যায় ফিলিপিন্সের ক্যাসিনোগুলোতে। এর প্রেক্ষিতে ফিলিপিন্স সরকারের গঠিত অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিল তার তদন্ত শুরু করে। চুরি যাওয়া ওই অর্থ এবং এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে ফিলিপিন্সের গণমাধ্যম ‘র‌্যাপলার’ কিছু বিষয় তুলে ধরেছে।
তদন্তের ৭ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রিজার্ভ চুরির এই বিশাল ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা যায়নি, জানা যায়নি চুরি যাওয়া অর্থের বর্তমান অবস্থান। ১৯ ফেব্রুয়ারি অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) তার কাজ শুরু করার পর থেকে অনেক কিছু ঘটে গেছে এই রিজার্ভ চুরি নিয়ে: প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান ও পরে দুই ডেপুটি পদত্যাগ করলেন, মামলা দায়ের হলো, ফিলিপিন্সে অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত দেশটির রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) প্রেসিডেন্ট এবং সিইও লরেঞ্জো ট্যান ছুটিতে চলে গেলেন এবং চুরি যাওয়া কিছু অর্থ এএমএলসির কাছে ফেরত এসেছে। একে ফিলিপিন্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জন গোমেজ ‘সঠিক দিকে এগিয়ে চলা’ বলে উল্লেখ করেন। বাকি অর্থ উদ্ধারে ফিলিপিন্স সরকারকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিরা সেখানে যাবেন বলেও জানানো হয়েছে।
আগামী ৫ এপ্রিল ফিলিপাইন সিনেটে এ নিয়ে চতুর্থ শুনানি বসতে যাচ্ছে। ‘র‌্যাপলার’ যেসব বিষয় তুলে ধরেছে তা হলোÑ
সবাই একে অপরকে চেনে
রিজার্ভ চুরির ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সে পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের সবাই-ই একে অপরকে কোনো না কোনোভাবে চেনে। ফিলিপিন্সের আরসিবিসি, ফিলরেম সার্ভিস কর্পোরেশন, সোলেয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনো, মাইদাস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং কয়েকজন ক্যাসিনো পরিচালকের নাম উঠে এসেছে তদন্তে। সিনেটের শুনানিতে আটক ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ক্যাম সিন ‘কিম’ ওং জানান, তিনি ফিলরেমের ট্রেজারার মাইকেল বাতিস্তা, আরসিবিসি’র ট্যান, ব্যাংকটির জুপিটার শাখার বরখাস্ত ম্যানেজার মায়া স্যান্তোস-দেগুইতো, চীনা-ফিলিপিনো ব্যবসায়ী উইলিয়াম গো এবং গাড়ি বিক্রেতা জেসন গোকে বিভিন্নভাবে চেনেন।
চুরি যাওয়া অর্থ আরসিবিসি অফিসে যায় দু’বার
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরি হয়ে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার একবার না, পর পর দু’বার আরসিবিসি ব্যাংকে যায় লেনদেনের জন্য তারপরও ব্যাংকটি যাচাই-বাছাই না করেই টাকা তোলা ও ফিলিপাইন পেসোতে রূপান্তরের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো। অর্থটি প্রথমে ৪ ফেব্রুয়ারি সুইফট কোডের (এমটি১০৩) মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েলস ফারগো মেলন ব্যাংক, সিটিব্যাংক এবং ব্যাংক অব নিউইয়র্ক হয়ে আরসিবিসিতে ডলার রেমিটেন্স হিসেবে প্রবেশ করে। তবে সরাসরি জুপিটার শাখায় নয়, প্রথমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সেটেলমেন্ট ডিভিশন হয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি জুপিটার শাখার হাতে গিয়েছিলো ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। ৫ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি এর ৬ কোটি ১০ লাখ পরিমাণ ভাগে ভাগে আরসিবিসি ট্রেজারি থেকে পেসোতে পরিণত করে ফিলরেমে নেয়া হয় বলে জানান সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট সালুদ বাতিস্তা। সুতরাং টাকাটা আবার আরসিবিসিতে ফেরত গিয়েছিলো। অথচ এর মাঝে ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক লেনদেন থামাতে সুইফট কোডের মাধ্যমে আরসিবিসির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও ব্যবস্থা নেয়নি আরসিবিসি।
প্রায় ২ কোটি ডলার এখনো নিরুদ্দেশ
সিনেট শুনানিতে ওং দাবি করেন, জালিয়াতির ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রায় ৪ ভাগের এক ভাগের হদিস এখনো পাওয়া যায়নি। ৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার সোলেয়ার এবং মাইদাস ক্যাসিনোতে গেলেও ১ কোটি ৭০ লাখ ডলারের হিসেব এখনো মিলছে না। সেগুলো এখনো ফিলরেমের কাছে আছে বলে দাবি করেন তিনি। অবশ্য ওংয়ের এই দাবি নাকচ করেছেন তদন্তকারীরা।
লোপাট অর্থের কিছু এখনো ক্যাসিনোতেই
সোলেয়ারের অপারেটর ব্লুমবেরি রিসোর্টস করপোরেশনের আইনি প্রধান সিলভারিও বেনি ট্যান গত শুনানির সময় নিশ্চিত করেন, সোলেয়ারের গেমিং টেবিলে ১৩৬ কোটি পেসোর লেনদেন হয়েছে, যার বিরাট একটা অংশ এক প্রভাবশালী বিদেশী ক্যাসিনো ব্যবসায়ীর মাধ্যমে অপারেটর ডিং ঝিজের অ্যাকাউন্টে চলে যায়। বেনি ট্যান জানান, সোলেয়ার গত ১০ মার্চ ডিংয়ের অ্যাকাউন্ট জব্দ করে। ওই অ্যাকাউন্টে মোট ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৯৬ হাজার পেসো বা ২৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার পাওয়া গেছে। উপযুক্ত কোর্ট অর্ডার পেলেই অর্থটি ফেরত দেয়া হবে বলে জানান ট্যান।
অর্থের এক অংশ এএমএলসিতে ফেরত আসছে
মাইদাস হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনোর এজেন্ট হিসেবে কাজ করা ওং শেষ শুনানিতে নিশ্চিত করেন, তার কোম্পানি ইস্টার্ন হাওয়াই লেজার কোম্পানি লিমিটেড ১শ’ কোটি পেসো বা ২ কোটি ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ডলার পায়। এর মধ্যে ৪৫ কোটি পেসো দিয়ে সহযোগী চীনা অপারেটর গাও’র দেনা শোধ করেন ওং। আর ৫৫ কোটি পেসো চলে যায় গেমিং টেবিলে। আরো ৫১ কোটি পেসো মাইদাসে কোথাও নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। তবে তার অধীনে থাকা নগদ ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ৩১ মার্চ এএমএলসিকে ফেরত দেন ওং।
ক্যাসিনো অপারেটররা জালিয়াতিতে সাহায্যকারী
ওং সিনেট প্যানেলকে জানান, ক্যাসিনো অপারেটর ডিং ঝিজে এবং গাও শুহুয়া ফিলিপাইন ক্যাসিনোগুলোতে জালিয়াতির টাকা সরিয়ে নেয়ার কাজে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের মাধ্যমেই ফিলিপিন্সে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ঢোকার সুযোগ পেয়েছিলো বলে জানান ওং।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ফিলিপাইনের মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের একাংশ ফেরত নিতে ম্যানিলা যাচ্ছেন বাংলাদেশের তদন্তকারী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি এ ঘটনায় চলমান সিনেট তদন্তেও অংশ নেবেন। আর গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির কর্মকর্তারা ঘটনার তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করবেন।
ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব) জন গোমসের বরাত দিয়ে ম্যানিলাভিত্তিক সংবাদপত্র বিজনেস ওয়ার্ল্ডের অনলাইনে শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
চুরি যাওয়া অর্থের ব্যাপারে বৈঠক
জন গোমস বিজনেস ওয়ার্ল্ডকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা আজ রোববারের মধ্যে ম্যানিলা পৌঁছাবেন। সেখানে তারা চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারের ব্যাপারে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকো সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপিনাস, বিএসএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন।
ফিলিপাইনের স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার বিকালে আইনজীবীর মাধ্যমে ফিলিপাইনের অর্থপাচার দমন কাউন্সিল (এএমএলসি) ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধির কাছে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ফেরত দেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কিম ওং। ম্যানিলায় বিএসএফের কার্যালয় থেকে ওই আইনজীবীর কাছ থেকে ১০০ ডলারের নোট ভর্তি একটি ব্রিফকেস গ্রহণ করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি ও চ্যানন্সেরী প্রধান প্রবাশ ল্যামারোং ও এএমএলসির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া বাচায়-আবাদ। সেই টাকা কিভাবে বাংলাদেশে ফেরত আনা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।
উদ্ধার হওয়া সাইবার ডাকাতির অর্থ
কিমের কাছ থেকে অর্থ ফেরত পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ম্যানিলায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমস সংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা আসছেন। ফেরত পাওয়া অর্থ কীভাবে দেশে নেওয়া যায় সে বিষয়ে ওই কর্মকর্তা এএমএলসির জুলিয়ার সাথে সমন্বয় করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ যথাযথভাবে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানান এএমএলসির জুলিয়া। তিনি বলেন, যখনই বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেও অর্থ ফেরত পাঠানো হবে। গত মঙ্গলবার ফিলিপাইনের সিনেটের শুনানিতে এই অর্থ ফেরতের দেয়া অঙ্গীকার করেছিলেন কিম ওং। শুনানিতে কিম বলেছিলেন, ফিলিপাইনের অর্থ বিনিময়কারী প্রতিষ্ঠান ফিলরেম সার্ভিস করপোরেশনের মাধ্যমে সোলেয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনোর জুয়াড়িদের জন্য এই অর্থ পাঠিয়েছিলেন তিনি।
সিনেট শুনানিতে অংশ নেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা
ম্যানিলাভিত্তিক সংবাদপত্র বিজনেস ওয়ার্ল্ডের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার ডাকাতির ঘটনায় ৫ এপ্রিলের চতুর্থ সিনেট শুনানিতে অংশ নেবেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। শুনানিতে এ ঘটনায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হবে।
তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করবে সিআইডি
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বরাতে বিজনেস ওয়ার্ল্ডের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার চুরির অর্থ উদ্ধার কাজে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করতে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির কর্মকর্তারাও ম্যানিলা যাচ্ছেন। রাষ্ট্রদূত গোমস জানিয়েছেন, রিজার্ভের অর্থ কীভাবে ফিলিপাইনে প্রবেশ করল এবং কে কে এর সঙ্গে যুক্ত সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা করবেন তারা (সিআইডি)।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাকড করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকাররা ১০০ মিলিয়ন অর্থ চুরি করে। সেখান থেকে ২০ মিলিয়ন যায় শ্রীলঙ্কায়। আর ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। তা সেখানকার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ফিলিপিনো পেসোতে রূপান্তরের পর দুটি ক্যাসিনোতে পাঠানো হয়। হ্যাকাররা অর্থ স্থানান্তরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে ৩৫টি ভুয়া অনুরোধ পাঠায়। এর মধ্যে ৪টি অনুরোধের অর্থ ঠিক মতো স্থানান্তর হয় ফিলিপাইনে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলারের ওই অর্থ শ্রীলঙ্কায় পৌঁছায় ডয়চে ব্যাংকের হাত ঘুরে। তাদেরই সন্দেহের কারণে শেষ পর্যন্ত শালিকা ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টে যাওয়া ওই অর্থ আটকে যায়। ওই অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধে প্রাপকের জায়গায় ‘ফাউন্ডেশন’ বানান ভুল থাকায় ডয়চে ব্যাংক বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল। আর এর মাধ্যমেই বেরিয়ে আসে, অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধটি ছিল ভুয়া। আর তাতে বাকি ৩০টি অনুরোধ আটকে যায়। ফাঁস হয়, বিশ্বের আলোচিত এক সাইবার ডাকাতির ঘটনা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন