স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সভাপতি বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, দেশে ইউনিয়ন পরিষদ তথাকথিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকার গ্রামাঞ্চলে সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতির বিস্তার ঘটিয়েছে। এর ফলে ইতোমধ্যে নারী ও শিশুসহ প্রায় অর্ধশত মানুষ জীবন হারিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন এবং ঘর ছাড়া হয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যত ব্যাপকভাবে ও যেভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে তা এর আগে কোন সরকার করেনি। বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় নৈরাজ্য এখন যে এক চরম পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচ তারই সর্বশেষ উদাহরণ। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে যেভাবে বাংলাদেশে প্রত্যেকটি নির্বাচন হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও সেভাবেই হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নির্বাচনের দিন এখন পরিণত হয়েছে সন্ত্রাস, ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোট, খুনখারাবি ও পুলিশের হত্যাকা-ের দিবসে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন ধাপ্পাবাজির নির্বাচনে ক্ষমতায় চেপেবসা শেখ হাসিনার অনির্বাচিত সরকার এখন বেপরোয়া। একের পর এক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার নিজেদের বৈধতা প্রমাণের চেষ্টা করছে, কিন্তু নির্বাচনে অন্য কাউকে জয়লাভের কোন সুযোগ দিতে তারা রাজি নয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আরেকবার প্রমাণ করেছে যে বাংলাদেশে এখন ফ্যাসিস্ট শাসন বলবৎ রয়েছে, ক্রমাগতভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে শুধু সন্ত্রাস ও হত্যার জোরে। জনগণ এই সরকারের অবসান চান। জনগণের প্রবল বিরোধিতার মুখেই শেষ পর্যন্ত তার পতন ঘটবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন