মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মাওবাদী এলাকা দিয়েই শুরু হচ্ছে প্রথম দফার ভোট পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে ভোট আজ

প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম রাজ্যে ভোটের লড়াই শুরু হচ্ছে আজ। প্রথম দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। সেখানে দুই দিনে ভোট হবে। ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আসামে ৪ ও ১১ এপ্রিল দু’দিনে, আর পশ্চিমবঙ্গে ৪ এপ্রিল থেকে শুরু করে মোট ৭ দিনে ভোট নেয়া হবে। ষষ্ঠ বা শেষ দফার ভোট নেয়া হবে ৫ মে। এই শেষ দফার ভোটে কোচবিহার জেলার পূর্বতন ছিটমহল এলাকাগুলিতেও ভোট হবে। পূর্বতন ছিটমহল এলাকাগুলির নতুন ভোটারদের তালিকায় নাম তোলা, বিধানসভা কেন্দ্রগুলির সীমানা পুনর্নিধারণ, সচিত্র পরিচয়পত্র দেয়া এ সব প্রশাসনিক কাজে যাতে কিছুটা সময় পাওয়া যায়, সেজন্যই শেষ দফায় ভোট নেয়া হবে সেখানে।
পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪টি বিধানসভা আসনে আর আসামের ১২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট নেয়া হবে। এছাড়াও তামিলনাডু, কেরালা আর পুদুচেরি বিধানসভার জন্য ভোট নেয়া হবে। সবকটি রাজ্যের ভোট গণনাই একদিনে হবে ১৯ মে। নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাইদি জানিয়েছেন যে আসাম আর পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী টহল দিতে শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশন বলছে প্রতি জেলায় ৫ জন করে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক থাকবেন ভোটগ্রহণ পরিচালনা করার জন্য।
আজ ভোট হবে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের। ১৩৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন প্রায় ৪০ লাখ ভোটার। মাওবাদী অধ্যুষিত ওই এলাকায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী এই পর্বে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে তা নিয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি তারা। যদিও প্রথম দফার ভোটে ৪৯৪৯টি বুথের মধ্যে ১৯৬২টি বুথকেই অতি-উত্তেজনাপ্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। সংস্থার অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু সরকারের দাবি, মাও-অধ্যুষিত এলাকার প্রতিটি বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যদিও তাতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আসা-যাওয়ার পথে ভোটারদের নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত থাকবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই গেল।
অন্যদিকে শনিবার কলকাতা থেকে মাওবাদী শীর্ষ নেতা বিকাশ ও তার স্ত্রী তারাকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। অতীতে রাজ্য সরকার বারবার দাবি করে এসেছে, জঙ্গলমহলে মাওবাদী কার্যকলাপ নেই। তখন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) দাবি করছে, বিকাশের নেতৃত্বেই ঝাড়খ--বাংলা সীমান্তে মাওবাদী কার্যকলাপ চলছিল। শনিবার জঙ্গলমহলের তিন জেলায় ভোট প্রচারের শেষদিনে এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
জঙ্গমমহলের অতি উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় ভোটের সময়ে বেশ কিছু হেরফের এনেছে কমিশন। জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার বান্দোয়ান, বলরামপুর, বাঘমুন্ডি, জয়পুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম, শালবনী, মেদিনীপুর, বিনপুর ও বাঁকুড়ার রানিবাঁধ, রায়পুর ও তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে সোমবার সকাল সাতটা থেকে বিকাল চারটে পর্যন্ত ভোটপর্ব চলবে। পাশাপাশি বাকি পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র অর্থাৎ পুরুলিয়া, মানবাজার, কাশীপুর, পাড়া ও রঘুনাথপুরে ভোট হবে সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত। প্রথম দফার ভোটের নিরাপত্তায় দু’টি হেলিকপ্টার ও একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স থাকছে। ভোট প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে কমিশনের তরফে থাকছেন ১৪ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক, তিনজন পুলিশ পর্যবেক্ষক ও ৬৭৬ জন মাইক্রো অবজারভার। একইসঙ্গে ২১০টি সিসিটিভি, ১৫৩টি ওয়েব কাস্টিং ব্যবস্থা থাকছে। মাও অধ্যুষিত এলাকায় প্রতিটি বুথে কমপক্ষে এক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বিবিসি, ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন