বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নান্দাইলে পারিবারিক মতবিরোধের জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ : আহত ৪

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৫নং গাংগাইল ইউনিয়নের বিয়ারা গ্রামে মৃত আশরাফ আলীর পুত্র সাইফুল ইসলাম গংদের সাথে প্রতিবেশী সৎ ভাইয়ের দিকের ভাতিজা শামছুদ্দিন ওরফে বাদশার বাপের পুত্র আনিছুর রহমান গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ মত বিরোধ চলে আসছিল। যায় পরিেেপ্রক্ষিতে তারা দলবদ্ধ ভাবে সাইফুলের পরিবারের লোকজনকে নাজেহাল করার জন্য বিভিন্ন হুমকী সহ নানাবিধ সুযোগের সন্ধানে ছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৬.৩০ ঘটিকায় সাইফুলের বড় ভাই শাহাবুদ্দিন (৭০) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ীর পিছনে যাওয়া মাত্রই পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা শামছুদ্দিন ওরফে বাদশার বাপের পুত্র আনিছুর রহমান, শহীদ মিয়া, চন্দন মিয়া, বাবুল মিয়া, মৃত আহাম্মদ হোসেনের পুত্র আবুল হাসেম. চন্দন মিয়ার পুত্র মাজহারুল ইসলাম একযোগে শাহাবুদ্দিন কে ঘেরাও করে দাঁড়ায়। বিবাদী চন্দন মিয়া ও আবুল হাসেম শাহাবুদ্দিনের উপর বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে এলোপাতারী বাড়াইয়া লীলা ফুলা জখম করে। তখন শাহাবুদ্দিনের ডাক চিৎকারে বাদীর ভাবী রুমেলা খাতুন (৬০) ভাতিজা বুলবুল ইসলাম, আল আমিন, আব্দুর রশিদ ঘুম থেকে উঠে এবং দৌড়াইয়া গিয়ে বিবাদীদের বাধা নিষেধ করলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আনিছুর রহমান রুমেলা খাতুনকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় কূপ দিলে সে কূপ ডান হাতে ফেরানোর চেষ্ঠা কালে তার ডান হাত মারাতœক রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের আঘাতে আব্দুর রশিদ, আল আমিন ও আহত হয়। এ ঘটনায় আহত শাহাবুদ্দিন ও আব্দুর রশিদকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ও গুরুতর জখমী রুমেলা ও আল আমিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভর্তিকৃত রুমেলার অবস্থা আশংকাজনক। বিবাদীরা সাইফুল ইসলামের ঘরে ব্যাপক ভাংচূর করে জিনিষ পত্রদি লুট করে নেয়। উক্ত বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় নান্দাইল মডেল থানায় মামলা-নং- ০৪(০৪)১৮ রুজু হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন