জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসূফী বলেছেন গত ৩ এপ্রিল আমেরিকা আফগানিস্তানে বোমা বর্ষণ করে শতাধিক হাফেজ ছাত্রদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে প্রমাণ করেছে আমেরিকা-ইজরাঈলই সন্ত্রাসবাদের উৎপত্তিস্থল, অথচ তাদের মুখেই অহরহ শোনা যায় শান্তি প্রতিষ্ঠার মুখরোচক সেøাগান। এহেন বর্বরোচিত হামলা দেখেও না দেখার ভান করছে জাতিসংঘ, ওআইসি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ। বিশ্ব মুসলিমনেতৃবৃন্দ ও মানবতাবাদীদেরকে এই সন্ত্রাসী ঘটনার নায়ক আমেরিকা ও ইজরাঈলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে গর্জে ওঠতে হবে।
গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আফগানিস্তানে বোমা হামলা চালিয়ে শিশু হাফেজ ছাত্রদের হত্যা করার প্রতিবাদে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইউসূফী এসব কথা বলেন।
দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজিপুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি বশীরুল হাসান খাদিমানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম, যুব জমিয়ত বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা শরফুদ্দীন ইয়াহইয়া কাসেমী ও সহ-সভাপতি মাওলানা আখতারুজ্জামান প্রমূখ। কর্মসূচি পরিচালনা করেন মহানগর জমিয়তের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, শত শত কেন হাজার হাজার হাফেজ হত্যা করেও কুরআনি শিক্ষাকে বন্ধ করা যাবে না। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারা সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কলমের যুদ্ধ শুরু করুন। তিনি বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুদের হাতে নিহত হওয়া সন্তানের জানাজার নামাজ পড়ানোর পূর্বে তার পিতা মাওলানা ইমদাদুল্লাহ রাশিদী উত্তেজিত উপস্থিত জনতাকে শান্ত করে কীভাবে সা¤প্রদায়িক দাঙা ঠেকিয়ে দিলেন তা প্রচার করা সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। ভারতের সাংবাদিকগণ যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের পক্ষে না গিয়া মাওলানা রাশিদীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকদেরকেও সেভাবে মাওলানা রাশিদীর পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন