বাস উল্টে কলেজ ছাত্রসহ ২ জন নিহত ও ২৫ জন আহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাসে আগুন দেয়ার প্রতিবোদে গোপালগঞ্জের সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা বাস মালিক সমিতি। গতকাল দুপুর ১টার দিকে বাস মালিক সমিতির জরুরি সভায় জেলার রুটে অনিদ্দিষ্ট কালের জন্য বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন। ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুপুর থেকে গোপালগঞ্জে জেলার ৫ উপজেলার ৫টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে ।
এ দিন সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের উপর উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে গোপালগঞ্জ চন্দ্রদিঘলিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফুড টেকনোলজি বিভাগের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র কাশিয়ানী উপজেলার তিলছড়া গ্রামের আনিচ মোল্লার ছেলে আশিকুর রহমান রেজা (১৭) ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য রুকু মোল্লা (৬৫) নিহত হয়। এরপর থেকে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখে চন্দ্রদিঘলিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া বাস পোড়ানোর প্রতিবাদে শ্রমিকরা শহরের পুলিশ লাইন মোড়ে ঢাকা খুলনা মহাসড় দুপুরে সাড়ে ১২ টা থেকে ১ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে। তারা সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, সকালে একটি বাস কাশিয়ানীর ব্যাসপুর থেকে গোপালগঞ্জ যাচ্ছিল। পথে গোপীনাথপুর শরীফপাড়ায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আশিক নিহত হন। এ সময় আহত হন বাসের আরো অন্তত ২৫ যাত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ ও গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর রুকু মোল্লাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনার প্রতিবাদে মহাসড়কের চন্দ্রদিঘলিয়া থেকে গোপিনাথপুর পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর এবং ঘাতক বাসটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে সড়কের দু’পাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ উত্তেজিত ছাত্রদের সাথে সমঝোতা বৈঠক করে। দুপুর সোয়া ১টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেয়।