পূর্ব ঘোষণা মতো এডিস মশার উৎপত্তিস্থল খুঁজতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১ ও ২ জোনের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাশ্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় কয়েকটি বাসা বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলেও তাদেরকে প্রাথমিক অবস্থায় মৌখিক ও লিখিতভাবে সতর্ক করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে জোন ১ ও ২ এর বিভিন্ন এলাকায় এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
শেখ সালাউদ্দিন জানান, আজ (গতকাল রোববার) সিপাহীবাগ এলাকার চারটি বাড়িতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়াও জোন-২ এ দুইটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। বাড়িগুলোর বিভিন্ন স্থানে পানি জমে আছে। এরমধ্যে একটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। প্রথামিক অবস্থায় তাদরেকে মৌখিক ও লিখিতভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তবে কাউকে দন্ড বা জরিমানা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ নগরভবনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আগামী ৮ এপ্রিল ( গতকাল রোববার) থেকে বাসাবাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা করা হবে। তখন কোন বাড়িতে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র বা লার্ভা পাওয়া গেলে, আইন অনুযায়ী সেসব ভবন মালিকের বিরুদ্ধে অর্থদন্ড, কারাদন্ড এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। মেয়রের এই ঘেষণা অনুযায়ি গতকাল রোববার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলনা শুরু করেছে ডিএসসিসি। এর আগে গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে সংস্থাটি। ভবনগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং কোনো অবস্থাতেই যেন এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র না থাকে, এমন মেসেজ দিয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার বাসাবাড়িতে সচেতনতামূলক গণবিজ্ঞপ্তি পৌঁছানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন