কক্সবাজার কুতুপালং মধুরছড়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সবচেয়ে বড় মসজিদ শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. মসজিদটি। স্থানীয় প্রশাসন বিনা নোটিশে গত সোমবার সকালে ভেঙ্গে ফেলেছে । মসজিদ ভাঙ্গার প্রতিবাদ ও তা পুনর্নির্মাণের দাবীতে গতকাল বাদ জোহর বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও মুহাম্মদপুরে মিছিল করেছে যুব মজলিস। গতকাল বাদ জোহর পল্টনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের ঈমান আকিদা রক্ষায় তৈরি মসজিদটি ভেঙ্গে মুসলমানদের অন্তরে আঘাত দেয়া হয়েছে। তিনি অবিলম্বে মসজিদ পুন:স্থাপনের দাবী করে বলেন অন্যথায় এদেশের উলামায়ে কেরাম ইসলামী নেতৃবৃন্দ এবং ইসলামী জনতা আন্দোলনের পথ বেঁচে নিবে। দলের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, এদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জান মাল হেফাজত করা যেমন আমাদের দায়িত্ব ঠিক একইভাবে তাদের ঈমান আকিদা হেফাজত করার দায়িত্বও আরো অধিক। তিনি বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের ঈমান আকিদা রক্ষার কোনো ব্যবস্থা করেনি। এ সুযোগে বিদেশী এনজিও ও মিশনারি রোহিঙ্গাদের ধর্মান্তরিত করে নিচ্ছে। এটা কোনোভাবে সহ্য করা যায় না। তিনি বলেন, আলেম-উলামা ও ঈমানদার জনতা নির্মিত অন্য কোনো মসজিদ ভাঙ্গার উদ্যোগ নিলে দেশের তাওহিদী জনতা বসে থাকবে না।
দলের ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে সভাপতি মাওলানা এনামুল হক মূসার সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল মুমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে এবং মুহাম্মদপুরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, অফিস ও বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া, নরসিংদী জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াছ শেরপুরী, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হাশমতুল্লাহ ফরিদী, মাওলানা শরীফ হুসাইন, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মাওলানা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন