বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পীরগাছায় বরাদ্দ ছাড়া সরকারি কোয়ার্টারে বসবাসের অভিযোগ

বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য সুবিধা ফ্রি

পীরগাছা (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রংপুরের পীরগাছায় উপজেলা প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তারা বছরের পর বছর সরকারি বাসায় থাকলেও তাদেরকে ভাড়া দিতে হয় না। উপজেলা চত্তরে অবস্থিত প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের জন্য বসবাসের জন্য থাকা একটি ভবনে গত ৩ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন দুই কর্মকর্তা ও এক শিক্ষিকা। ভবনটির বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য বিল ও সংস্কারের অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে সরকারি কোষাগার থেকে। বরাদ্দ ছাড়াই দীর্ঘ দিন থেকে দুই কর্মকর্তা ও এক শিক্ষিকা সরকারী কোয়ার্টারে বসবাস করার ঘটনায় প্রশাসনের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, প্রমোট প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা পরিষদের ভিতরে একটি আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনটি মহিলা কর্মকর্তাদের আবাসিক সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হলে শুরুর দিকে মহিলা কর্মকর্তারা অবস্থান করে আসছিল। পরে স্থানীয় একটি মহিলা কলেজের ছাত্রীদের জন্য মহিলা হোস্টেল হিসাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। দীর্ঘ দিন মহিলা হোস্টেল থাকার পর নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে মহিলা হোস্টেলের বরাদ্দ বাতিল করে উপজেলা প্রশাসন। তারপর থেকেই ভবনটিতে বরাদ্দ ছাড়াই গত তিন বছর ধরে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আয়শা আক্তার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার লাজিজা খাতুন ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মনিরা বেগম লুনা বসবাস করে আসছেন। তারা দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসলেও সরকারী কোষাগারে কোন টাকা দিতে হয়নি। ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা পরিষদের আবাসিক ভবনগুলো দেখ ভাল ও বরাদ্দ উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে হয়ে থাকে। কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্য বাসা বরাদ্দে অনিয়মের ঘটনা ঘটছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শুধু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীর নামে বাসা বরাদ্দ রয়েছে। বাকী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আবাসিক ভবনগুলিতে বসবাস করলেও তাদের নামে কোন বাসা বরাদ্দ নেই।
বরাদ্দ না নিয়ে সরকারি কোয়ার্টারে থাকা উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আয়শা আক্তার বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে প্রমোট ভবনে বসবাস করে আসছি। ফ্রিতে থাকার বিষয়ে বাসা বরাদ্দ কমিটি এর জবাব দিবে।
উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম জানান, প্রমোট ভবনে তিনজন থাকার কথা আমি জানি। তবে তারা বাসা বরাদ্দ না নিয়ে কিভাবে থাকে সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবির জানান, সরকারি বাসা বরাদ্দের বিষয়ে একটি মিটিং আহবান করা হয়েছে। অনিয়ম হয়ে থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন