রাবি রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির গল্প এখন শুধু বাঙালির কাছেই নয়, সারা বিশ্বের কাছে এক কৌতুহলের বিষয়। গত বছর বাংলাদেশ নি¤œ আয়ের দেশের গ্লানি ঘুচিয়ে ‘নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশের’ মর্যাদা লাভ করেছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা মধ্যম আয়ের দেশের গৌরব অর্জনে বদ্ধপরিকর। আর্থিক খাতে আমাদের অর্জিত স্থিতিশীলতাও এখন অনেক উন্নয়নশীল দেশের কাছেই মডেল। বিশ্বের নানা কোণ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পুরস্কৃত হচ্ছে। গতকাল বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক ফোরাম আয়োজিত ‘জীবনের কথা, অর্থনীতির কথা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র চত্বরে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাঠক ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন শুভ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন পাঠক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আরিফ হাসনাত।
ড. আতিউর রহমান বলেন, বতর্মান সময়ে আমাদের সব সূচকেই স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। আমদানি, রেমিট্যান্স, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মাথাপিছু আয় বাড়ছে। সামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যের হার, গড় আয়ুসহ অনেক সূচকেই ইতিবাচক পরিবর্তন এখন লক্ষ্যণীয়। সেই সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে কমেছে মূল্যস্ফীতির হারও। তা ছাড়া দারিদ্র্য প্রায় ৬০ ভাগ থেকে ২২ ভাগে নেমে এসেছে। টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল ও জোরালো অবস্থায় রয়েছে।
বর্হিবিশ্বের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন সারা পৃথিবীতেই কৌতুহলের বিষয়। তারা জানতে চায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কি এমন ঘটেছে যার ফলে বিশ্বমন্দার মধ্যেও দেশটি গত কয়েক দশক ধরে গড়ে ছয় শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। জিডিপির ভিত্তিতে দেশটির স্থান এখন বিশ্বে ৪৫তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩৩তম। সামাজিক উন্নয়নের ফলে এদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এক্ষেত্রে আমরা ভারত ও পাকিস্তানকে চার-পাঁচ বছর পেছনে ফেলে দিয়েছি।
এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক ফোরামের ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন