স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) লজ্জা ও বিবেকবোধহীন আখ্যায়িত করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। গতকাল এক আলোচনা সভায় তিনি বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ অনেক শিক্ষিত হলেও তার বিবেক ও লজ্জাবোধ বলতে কিছু নেই। বোধ থাকলে একটি দিনের জন্যও তিনি এই পদে বহাল থাকতেন না।
সংগঠনের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে এত মানুষ মারা গেল। কিন্তু ইসি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আশা করি, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা পদত্যাগ করে অন্যদের ওপর দায়িত্ব দেবে। ইসির যদি লজ্জা থাকতো তাহলে একটি দিন হলেও তাদের পদে থাকতো না। তারা পদত্যাগ করে অন্যদের ওপর দায়িত্ব দিতো। মনে হচ্ছে তারা বোধ শক্তিহীন।
তিনি অবিলম্বে ইসিকে পদত্যাগ করে একটি ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান। এ ছাড়া ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় আজ হোক কাল হোক এ বিষয়ে মামলা হবে বলে মন্তব্য করেন এমাজউদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির আন্দোলনের সময় যত লোক মারা গিয়েছিল, নির্বাচনী সহিংসতায় তার চেয়ে কোনো অংশে কম লোক মারা যায়নি। এ ব্যাপারে একদিন সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
ব্যাংক লুট হওয়া প্রসঙ্গে বরেণ্য এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সোনালী, রূপালী, জনতাসহ বিভিন্ন ব্যংাকে একের পর এক অর্থ কেলেঙ্কারি ঘটছে। সর্বশেষ রাজকোষ (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) থেকে জনগণের টাকা লুট হলো। অথচ বাংলাদেশে যেখানে ষাটভাগের ওপরে লোক শিক্ষিত সেখানে এতগুলো টাকা লুট হয় কী করে? শুধু পদত্যাগের মাধ্যমেই গভর্নরের পাপমোচন হয়নি। দায়িত্ববোধ থাকলে তিনি সঠিক কথা বলে পদত্যাগ করতেন। আসলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কত টাকা লুট হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। বর্তমান গভর্নরকে এটা খুঁজে বের করার আহ্বান জানান এমাজউদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেন, বর্তমানে গণতন্ত্রের চিহ্ন মাত্র চোখে পড়েনা। বাংলাদেশ যেন বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে। অথচ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছিলেন। তার নেতৃত্বের পরশমনিতে বাংলাদেশ সমৃদ্ধি অর্জন করে। তিনি যেখানেই হাত দিতেন সেখানেই সোনা ফলতো।
সভাপতির বক্তব্যে জিয়া পরিষদ চেয়ারম্যান কবির মুরাদ বলেন, যাত্রাবাড়ীতে যেদিন গাড়ী পুড়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন তার আগে-পরে অবরুদ্ধ। খাবার পানিও তার কার্যালয়ে ঢুকেনি। তাকে এই মামলায় জড়ানোর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়েছেন। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান কবির মুরাদ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেনÑকুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. এমতাজ হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বাহাউদ্দিন বাহার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন