শস্য ভান্ডার খ্যাত তাড়াশ উপজেলায় ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ধানের। বাম্পার ফলন ও আশানুরুপ দাম পেয়ে খুশি কৃষক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দিগন্ত জোরা বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে সোনালী ধান। মিনিকেট, বৃ-ধান ২৮, ২৯, ৫৮ ও স্থানীয় জাতের ইরি-বোরো ধানের আবাদ করেছেন কৃষক। মৌসুমী কৃষি শ্রমিকরা এসব পাকা ধান কেটে মাঠ থেকে কৃষকের বাড়িতে নিয়ে আসছেন। পাকা ধান দেখে কৃষক-কৃষাণীর মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটছে। গোলায় ধান রাখা ও বাজারজাত কাজে ব্যস্ত রয়েছেন তারা।
কৃষক আজগর আলী, রহিচ উদ্দিন, শাহিন আলম, তয়জাল ফকির, ছাত্তার প্রামানিক, জাকির হোসেন, আব্দুল মান্নান, দুদু মিঞা, আমজাদ হোসেনসহ অনেকে জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছে। প্রতি বিঘায় মিনিকেট ২২ থেকে ২৫ মণ ও বৃ-ধান ২৮ থেকে ৩০ মণ করে পাচ্ছেন তারা। ধরন ভেদে প্রতি মণ ধান বিক্রি করছেন ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়। কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলছেন, এ বছর ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার হেক্টর। আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৭২৫ হেক্টর। ফলন ভালো হচ্ছে। দামও ভালো। ধান কাটার শেষ সময় পর্যন্ত প্রকৃতি অনুক‚লে থাকলে কৃষক নিশ্চিত লাভবান হবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন