শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জাবি ক্যান্টিন কর্মীকে ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হলের এক ক্যান্টিন কর্মীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। গতকাল (বুধবার) বেলা সোয়া ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা গেটসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
‘ধর্ষণ, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা পাথালিয়াবাসী’র ব্যানারে মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, গণবিশ্ববিদ্যালয়, জাবি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় পাথালিয়া ইউনিয়নবাসী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহমেদ হোসেন অভিযোগ করেন, ঘটনার ১০ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ এখনো দোষীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টো পুলিশ দোষীদের বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছে।
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিরাজ হোসেন মুনিম বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের ফলে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ক্যান্টিনকর্মী ধর্ষিত হওয়া একটি লজ্জাজনক ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। অথচ দোষীদের শাস্তির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ শরীফ বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মেডিকেল টেস্টসহ যে ধরনের তদন্ত হওয়া উচিত সেগুলোর কিছুই হচ্ছে না। আলামত নষ্ট করতে ঘটনার দু’দিন পর নিজেদের মতো করে একটি মামলা সাজিয়েছে পুলিশ। মামলার কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এমনকি ঘটনার মূল হোতা স্থানীয় লেহাজ উদ্দিন মেম্বারের ছেলেকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা। দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ রাতে প্রীতিলতা হলে কাজ শেষে ওই ক্যান্টিনকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আমবাগান এলাকায় তার বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যান। রাত ৩টার দিকে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য লেহাজ উদ্দিনের ছেলে সুজনের নেতৃত্বে তার বন্ধু ফজলুল, মানিকসহ আরো ৩-৪ জন যুবক ‘বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে’ এই অভিযোগ তুলে ওই কিশোরীকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে নবীনগর এলাকায় নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। এসময় তাকে আটকিয়ে রেখে মুক্তিপণও দাবি করা হয়।

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন