শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভাগ্নে মাহফুজকে আসামী করে চার্জশিট

প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : শহরের ১নং বাবুরাইলে একই পরিবারের পাঁচজনকে হত্যার নৃশংস ঘটনার আড়াইমাস পর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। এতে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়া ভাগ্নে মোহাম্মদ মাহফুজকেই একমাত্র আসামি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর ওই চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দ পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (তদন্ত) এমএ খায়ের। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম হোসেন চার্জশিট দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘ ৫ খুন মামলার ধার্য তারিখে দিনে চার্জশিটটি আদালতে উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে সেই দিন আদালতে শুনানি হবে’।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (তদন্ত) এম এ খায়ের জানান, মামলায় ৩০জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। আলামত দেখানো হয়েছে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত শিল পাটার পাটাসহ ২৫টি আলামত।
চার্জশিট দাখিলের আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন বলেন, ‘আমরা গত ৮০ দিন ধরে চুলচেরা বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করতে যাচ্ছি। এ হত্যাকা-ের পিছনে মূলত আবেগ ও সামাজিক অবক্ষয় কাজ করেছে। হত্যাকা-টি একজনই সংঘটিত করছে। হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে আমরা এ চার্জশিট জমা দিচ্ছি। আমরাও চাই অপরাধীর উপযুক্ত বিচার হোক। এজন্যই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাখিল করছি। এতে আশা করা যাচ্ছে বাদী পক্ষ যথার্থ বিচার পাবে।’
প্রসঙ্গত গত ১৬ জানুয়ারি রাতে শহরের বাবুরাইল এলাকা থেকে তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ছোটভাই মোরশেদুল (২২) ও তার জা লামিয়া (২৫) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন ১৭ জানুয়ারি সকালে নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাগ্নে মাহফুজ, ঢাকার কলাবাগানের নাজমা ও শাহজাহানের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে সন্দেহ করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন গ্রেপ্তার করা হয় শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মাহফুজকে। পরে ২১জানুয়ারি আদালতে মাহফুজ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। চার্জশীটে অভিযুক্ত অন্যদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আদালতে মাহফুজ স্বীকারোক্তি ছিল অনেকটাই গা শিউরে উঠার মত। মামীর সঙ্গে একই বিছানায় শুতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষোভ থেকেই একে একে ৫জনকে হত্যা করা হয়। মাত্র ৪ঘণ্টার ওই কিলিং মিশনে প্রথমে তাসলিমা ও সবশেষ হত্যার শিকার হয় স্কুল ছাত্র মো. শান্ত। এর মধ্যে তাসলিমা, লামিয়া ও মোর্শেদুল মোশাররফকে মাথায় শিল দিয়ে আঘাত করে এবং শান্তকে দেয়ালে আঘাত করে হত্যা করে। আঘাতের পর শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। আর শিশু সুমাইয়া মারা যায় শিলের আঘাতে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন