জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে স্কয়ার হাসপাতালে দেখতে গিয়ে গণধোলাই খেলেন সালথা-নগরকান্দা আওয়ামীলীগের নেতা আলমগীর ফকির ও শের আলী খাঁ। পরবর্তীতে শের আলী খাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্ট হাজতে চালান করা হয়েছে। আলমগীর ফকির কোথায় কি অবস্থায় আছে কেউ বলতে পারছে না বলে তার পরিবারের লোকজন জানায়।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সংসদ উপনেতা আওয়ামীলীগের প্রবীণ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অসুস্থ্যতার খবর পেয়ে আওয়ামীলীগের দুই নেতা আলমগীর ফকির ও শেখ আলী খা শনিবার স্কয়ার হাসপাতালে সংসদ উপনেতাকে দেখতে যান। যাওয়ার পরপরই সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর একান্ত সচিব সফিউদ্দিনের নেতৃত্বে আলমগীর ফকির ও শের আলী খাঁকে বেধরক পেটিয়ে একটি রুমে আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে শেখ আলী খাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু আলমগীর ফকির কোথায় আছে এর সন্ধ্যান কেউ জানে না। এই নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা চিন্তিত।
এই নেতাকে হামলার ঘটনায় সালথা ও নগরকান্দা উপজেলায় আওয়ামীলীগ ও এলাকার সাধারণ জনগণ নিন্দা জানিয়েছেন। এবং তারা বলেন, একজন অসুস্থ্য নেতাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে গণধোলাই খেতে হয় আমরা সেই দল করবো কি ভাবে। এর সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনানুগ বিচার দাবী করেন সালথা-নগরকান্দার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর একান্ত সচিব সফিউদ্দিন জানান, আমি আলমগীর ফকির ও শেখ খাঁকে মারধোর করি নাই। সম্ভবত হাসপাতালের সিকিউরিটি গণধোলাই দিতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন