ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর হাট একটি প্রাচীন হাট। যথা সময়ে সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ হাটের ক্রেতা বিক্রেতাদের। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটটি ভাগাড়ে পরিণত হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে ১৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। প্রতি বছর এই হাট থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আদায় হলেও উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে হাটটিতে গিয়ে দেখা যায়, হাটের ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাজারের মধ্যে হাঁটু পানি জমে ভাগাড়ে পরিণত হয়। হাঁটু পানি ও কাদা মারিয়েই ক্রেতা-বিক্রেতাদের চলাচল করতে হয় এবং কেনা বেচার কাজ সারতে হয়। দীর্ঘ দিন সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ায় হাটের এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। ড্রেন পরিষ্কার না করায় বর্জ্য জমে সামান্য একটু বৃষ্টি হলে ড্রেনের পচা পানি উপচে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং দোকানের ভেতর ঢোকে পড়ে।
বর্ষা মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি সীমা থাকে না। বৃষ্টির সময় হাটে আগতদের দাঁড়ানোর কোনো ছাউনি নেই। যে ছাউনিটি আছে তা আবার দখল করে রেখেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার এই হাটটি বসে। হাটের বেহাল দশার কারণে পুরো বাজারটিই চলে আসে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর। সড়ক জুড়ে ব্যবসায়ীরা শাকসবজি, তরকারি, মাছ, ফল, পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা বিক্রির জন্য সাজিয়ে বসে। আবার অনেকে নিজেদের পছন্দের জায়গায় ঝুপড়ি টাঙিয়ে দখল করে স্থায়ীভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে। ফলে হাটের দুইদিন মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয় ।যার কারণে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
হামিদপুর হাটের ইজারাদার মো.স্বপন মিয়া জানান, দীর্ঘ দিন যাবত হাটটি উন্নয়নবঞ্চিত। দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ হাটটির সার্বিক সংস্কার প্রয়োজন। হাট থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করে। অথচ এর কোনো উন্নয়ন দিকে কারো নজর নেই।’
হাটটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করে দিঘলকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময় উপজেলা পরিষদের সভায় হাটের বেহাল দশার বিষয় তুলে ধরে হাটটি সংস্কারের দাবী জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলরুবা আহমেদ জানান, হাটটির যাবতীয় সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন