বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খুলনাতে বিএনপি নেতাকর্মী ও ভোটারদের জন্য অঘোষিত কারফিউ চলছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৮, ১২:০৯ পিএম

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতারের পাশাপাশি খুলনা সিটিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তান্ডব চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সেখানে বিএনপি নেতা-কর্মী ও ভোটারদের জন্য অঘোষিতভাবে চলছে কারফিউ, আর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের চলছে ফাঁকা মাঠে উৎসব। গতকাল খুলনায় বিএনপির পোলিং এজেন্টদের ট্রেইনিং দেওয়ার সময় ১০-১২জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে পুলিশ। শিল্প এলাকায় দা-রাম দা নিয়ে বাড়ি বাড়ি হামলা চালাচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও ভীতিমুক্ত পরিবেশ তৈরি না করে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় খুলনাকে এখন আতঙ্কের নগরীতে পরিণত করেছে, যাতে ভোটার’রা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারে। খুলনায় যা হচ্ছে তা হলো-একনায়কতন্ত্রী শাসনব্যবস্থার প্রত্যক্ষ প্রতিফলন। 
আজ সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 
রিজভী বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের কোন ভরসা নেই বলেই আমরা বারবার সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছিলাম কিন্তু সরকার এ বিষয়ে গ্রীক মূর্তির  মতো নিশ্চল ও নিশ্চুপ থেকেছে-যা দুরভিসন্ধিমূলক। ইলেকশন কমিশনের যেন পল্লী গীতির সেই শ্লোকের মতো অবস্থা ‘বন্ধু, দেখিয়াও দেখলা না/বন্ধু, শুনিয়াও শুনলা না’। সবচেয়ে করুণ অবস্থায় আছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোটার’রা। তারা প্রতিনিয়ত ত্রস্ত ও ভীত। তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পর্যবেক্ষন সংস্থা ও গণমাধ্যমের কর্মীদের খুলনার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহবান জানান।
রমজানের শুরুর আগেই লাফিয়ে লাফিয়ে নিত্যপন্যের দাম বাড়ছে অভিযোগ করে বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এখন আকাশছোঁয়া। কয়েকদিনের মধ্যেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা বৃদ্ধি করেছে। সরকারি দলের সিন্ডিকেটের কারনে জিনিসপত্রের দামের এই কৃত্রিম বৃদ্ধি। পিঁয়াজ, রসুন, চিনি, কাঁচা মরিচ, বেগুন, আলু, হলুদ, আদা, টমেটো, শসাসহ রমজান মাসে মানুষের অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আনাজপাতিসহ খাদ্য পণ্যের দাম কেজি প্রতি ১০/১৫ টাকা থেকে শুরু করে ৪০/৫০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পিঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫/৫০ টাকায় উন্নীত হয়েছে। ৭০/৮০ টাকা কেজির নীচে বাজারে কোন কাঁচা শাকসব্জি পাওয়া যাচ্ছে না। ধনে পাতায় হাত দিলে বৈদ্যুতিক সক্ করে। চিনির মূল্য নিয়ন্ত্রণে না নিতে পারে এখন চিনির কল বন্ধ করে দিতে চাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। জিনিসপত্রের মূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রমজানকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য অসৎ ব্যবসায়ীদেরই এটি কারসাজি। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা এসব ব্যাপারে নির্বাকার। কারণ মানুষের কষ্ট হলেও মুনাফা করছে ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটের লোকেরা।
রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন সরকারের দুঃশাসনের কবলে পড়ে মানুষ এমনিতে খেয়ে না খেয়ে নিদারুণ কষ্টে জীবন যাপন করছে। সারা বছর ধরেই চালে বাজারের আগুন নিভাতেতো সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে বহুগুণ। এমন পরিস্থিতিতে রমজানের আগে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।তিনি রমজানের প্রাক্কালে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে এই দাম বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানান এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন। 
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ প্রচার সম্পাদক আাসাদুল করিম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন