স্টাফ রিপোর্টার : শতকরা ২০ ভাগ শিশু-কিশোর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং রোগাক্রান্ত মা-বাবার ক্ষেত্রে তা ৩৪ ভাগ বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পরিবেশবাদীরা। তাদের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এছাড়াও ৮ শতাংশ শিশু একাকিত্ব নিয়ে বেড়ে উঠছে। বিপর্যস্ত পরিবেশে তারা শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা নিয়ে বেড়ে উঠে। গতকাল শুক্রবার পল্লীমা সংসদ কার্যালয় শিশুদের বেড়ে উঠার পরিবেশ এবং জীবনাচার পদ্ধতির বর্তমান পরিস্থিতির চিত্র নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), পল্লীমা গ্রীণ এবং মার্শাল আর্ট ফাউন্ডেশন। এসময় পরিবেশবাদীরা শিশু-কিশোরদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।
৪টি স্কুলের ১ হাজার ৪শত ৫৭ জন শিক্ষার্থীর উপর গবেষণা পরিচালনো হয়। ঢাকার ২টি সরকারি (খিলগাঁও গভঃকলোনী হাই স্কুল, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২টি বেসরকারি (শহীদ বাবুল একাডেমি, সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ) স্কুলের ১৪৫৭ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যাহিক জীবনচর্চা, তার পারিবারিক পরিবেশ ও রোগ নিয়ে এই সমীক্ষা পরিচালিত হয়। এর মধ্যে ৮৫৮জন মেয়ে এবং ৫৯৩ জন ছেলে, বয়স ৭ থেকে ১৫ বছর। সমীক্ষায় ব্যবহৃত তথ্য-ফর্মে অভিভাবককে দেয় তথ্যের আলোকে বিষয়ভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস করে ফলাফল নিরুপণ করা হয়। পরিবেশবাদীদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭৪ ভাগ সময়মত খাবার খায় না। পড়ার টেবিল, বইখাতা গুছিয়ে রাখে না ২২ ভাগ। ৫৯ শতাংশ শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করে না। ১৮ ভাগ মা-বাবার কাজে সহযোগিতা করে না। ৮ ভাগ একাকি থাকতে চায়। ৭-১৫ বছরের বয়সী শিশু-কিশোরদের ৮ ভাগ একাকি থাকতে পছন্দ করে, যার সংখ্যা ৩২ লাখ (দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ধরে)। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, পরিবেশ বিপর্যয় ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনাচারের কারণে আশংকাজনকহারে বাড়ছে রোগব্যাধি। শিশু-কিশোরদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশের মতো। পরবর্তীতে আজকের শিশুরাই জাতীয় অথনীতির মেরুদন্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। তাদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী। একাকিত্বতায় অপরাধ প্রবণতা বাড়বে যা সামাজিক নানা অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তাদেরকে সামাজিকতায় ফিরিয়ে আনতে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রকে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে সহ ৬দফা সুপারিশও তুলে ধরা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন