এস মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া (বরিশাল) থেকে
বানারীপাড়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেএসসি পরীক্ষার নিবন্ধন ফি এর নামে চলছে নীরব চাঁদাবাজী। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিবন্ধন ফিসের নামে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। জানা গেছে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ১৮০ টাকা হারে টাকা নেয়া হয়েছে। বানারীপাড়ার একটি স্ব-নাম ধন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৫০ জন ছাত্রী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে এ বছর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক জানান, অতিরিক্ত ফি নেয়ার রসিদ দেয়া হয় না। এ ছাড়াও প্রায় প্রতিটি স্কুলের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছে শাসকদলীয় প্রভাবশালী লোকজন। এ ধরনের প্রভাবশালী সদস্যদের নিয়ে তাদের খেয়াল খুশি মত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ হাতিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছেন এমনই গুঞ্জন রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে একই চিত্র উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেক অভিভাবক শিক্ষকদের বিরাগ ভাজন হওয়ার ভয়ে এ সব অন্যায় আবদারের প্রতিবাদ করতে পারছে না। এ দিকে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক গত ২৪ মার্চ (বশিবো)/জেএসসি(০২)/২০১৬/৬৭২নং স্মারকের একটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে (রেজি : ফি ৫০ টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি ৪ টাকা, অন-লাইন ফি ৬ টাকা) মোট ৬০ টাকা নেয়া হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে নিবন্ধনের জন্য বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফিসের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে তার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান নিজেই দায়ী থাকবেন। ওই বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ জানান, বোর্ডের নির্ধারিত ফি ছাড়াও কিছু অনাকাক্সিক্ষত খরচ বিদ্যালয়কে বহন করতে হয়। উপজেলা সদরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর চেয়ে বেশি অনিয়ম চলছে দুর্গম এলাকার বিদ্যালয়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এ রকম দু’একটি ঘটনা শুনেছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন