বিশ্বের প্রথম আদিবাসী নেতা ছিলেন হনুমান। সমপ্রতি এমন এক মন্তব্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এক আইনপ্রণেতা জ্ঞানদেব আহুজা। রাজস্থানের এই আইনপ্রণেতার দাবি, দেশের আদিবাসীদের সম্মান তেন ‘হনুমানজি।’
খবরে বলা হয়, রাজস্থানের বার্মার শহরে ভারত বনধ্ আন্দোলনের সময়ে হনুমানের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের এক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি। সেই ঘটনার জের ধরে স¤প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন আহুজা। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, আহুজা গত ২ এপ্রিল ভারত বন্ধে হনুমানের-র ছবিকে অসম্মান করা হচ্ছে দেখে তিনি ব্যথিত হন। সেসময় হনুমানের ছবি সাবেক ভারতীয় বিচারক ড.ভিম রাও আম্বেদকরের এক প্রতিমার নিচে রাখা হয়েছিল।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, এই দৃশ্য দেখে আহুজা বলেন, এই এসসি/এসটি মানুষেরা নিজেদের আদিবাসী বলে দাবি করে। তারা ড. ভিম রাও আম্বেদকরকে তাদের ভগবান মানে। কিন্তু দুনিয়ার প্রথম সত্যিকারের আদিবাসী নেতা ছিলেন হনুমানজি। তিনিই(হনুমান) তাদের প্রথম ভগবান। তিনি দলিতদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
আহুজার এরকম বিতর্কিত মন্তব্য করার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৬ সালে আহুজা বলেছিলেন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের(জেএনইউ) ক্যাম্পাসে প্রতিদিন ১০ হাজার সিগারেটের ফিল্টার, চার হাজার বিড়ি, ছোট বড় মিলিয়ে ৫০ হাজার হাড়, তিন হাজার কনডম, পাঁচশ গর্ভনিরোধক বড়ি, দু’হাজার চিপস ও নিমকির প্যাকেট, দু’হাজার মদের বোতল পাওয়া গেছে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, সেখানকার শিক্ষার্থীরা অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক জড়ায়। রাত ৮ টার পর সাধারণত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মাদক গ্রহণ করে। জেএনইউ’তে যারা পড়াশোনা করে তার শিশু নয়, দুই সন্তানের বাবা-মা। তারা দিনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে আর রাতে অশ্লীল নাচ নাচে। তিনি আরো বলেছিলেন, জেএনইউ’তে নিয়মিত ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়টি অপরাধমূলক কর্মকান্ডের একটি আস্তানায় পরিণত হয়েছে। সূত্র : ডিএনএ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন