বেনাপোল অফিস ঃ বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল স্থলবন্দরে ট্রাফিক পরিদর্শক পদ থেকে সহকারী পরিচালক পদে পদোন্নতির জন্য ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এক অভিযোগে জানা গেছে, বেনাপোল স্থলবন্দরে কিছু ট্রাফিক পরিদর্শককে সহকারী পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। আর এই পদোন্নতি নিয়ে বেনাপোল বন্দরে চলছে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও অর্থ বাণিজ্যে। যে কারণে বন্দরে চলছে চাপা ক্ষোভ। সূত্রে জানা গেছে, অনিয়মের মাধ্যমে গত ২০০৪ সালে সে সময়ে দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনদেরকে ক্ষমতার জোরে ট্রাফিক পরিদর্শক পদে চাকরিতে নিয়োগ দেন। জানা গেছে, ২০০৪ সালের ৩১-১০-২০০৪ তারিখে নিয়োগপত্র ডাকযোগে পাঠিয়ে দিয়ে পরদিন ০১-১১-২০০৪ তারিখে নিয়োগপ্রাপ্তরা চাকরিতে যোগদান করেন। অভিযোগে আরও জানা গেছে, গত ২০০৪ সালের ১৮ মে বিভিন্ন দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নিয়োগ কমিটির দায়িত্বে ছিলেন স্থলবন্দরের কর্মকর্তা শামসুর আলম ও আব্দুল মতিন। তারা এ দায়িত্ব পেয়ে তাদের নিকটাত্মীয়দেরকে নিয়োগ দেন। বর্তমানে সেই নিয়োগের ট্রাফিক পরিদর্শকরা পদোন্নতি নেয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। অভিযোগ আছে এদের মধ্যে অনেক অযোগ্যদেরকে মেধা তালিকায় প্রথমসারিতে রাখা হযেছে। প্রকৃত যোগ্যদেরকে সিরিয়ালের বাইরে রাখা হযেছে। এ ব্যাপারে সাধারণ ট্রাফিক পরিদর্শকদের দাবী জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেয়া হোক। বর্তমান মেধাক্রমে এক থেকে বিশ পর্যন্ত মেধা তালিকা অনুযায়ী মৌখিক বা লিখিত পরীক্ষা নিয়ে পদোন্নতি দিলে প্রকৃতযোগ্য ব্যক্তিরাই পদন্নতি পাবেন। অনিয়ম দুর্নীতি ও অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে যাহাতে পদোন্নতি দেয়া না হয় তার জন্য নৌ ও পরিবহন মন্ত্রী, সচিব ও বন্দর চেয়ারম্যান’র সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সাধারণ ট্রাফিক পরিদর্শকরা।
এ ব্যাপারে বর্তমান পদোন্নতি কমিটির প্রধান ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য অর্থ প্রশাসন আলউদ্দিন জানান, সরকারী চাকরির বিধি অনুয়ায়ী পদোন্নতি হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন